নাসার হাবল টেলিস্কোপ (NASA Hubble Telescope) লক্ষ্য করে দেখেছে যে এই ধূমকেতু অর্থাৎ বারনারডিনেলি-বার্নস্টাইন অবস্থান করছে আমাদের খুব কাছে। সেটিকে দেখা গিয়েছে রোড আইল্যান্ডের ১২০ কিমি অর্থাৎ ৭৫ মাইল দূরে।
আরও পডুন- পৃথিবীর এই কয়েকটি দেশে সাপ বলে কিছু নেই, কেন জানলে অবাক হবেন!
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোনমার ডেভিড জেইউট (David Jewitt) একটি স্টাডিতে এই তথ্য জানিয়েছেন। ডেভিড জেইউট এবং তাঁর টিম এই ধূমকেতুর বিভিন্ন ধরনের ছবিও প্রকাশ করেছেন।
advertisement
এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করেছেন হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। সেখানেই সোলার সিস্টেমের সবথেকে বড় ধূমকেতুর সাইজ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানা গিয়েছে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে সূর্যের কক্ষপথে থাকা ধূমকেতু হল সাধারণত কসমিক স্নোবলের মতো। যার মধ্যে রয়েছে ফ্রোজেন গ্যাস, রক এবং ডাস্ট। এটি যখন ফ্রোজেন অবস্থায় থাকে তখন এর সাইজ হয় একটি ছোট শহরের মতো।
এটি যখন সূর্যের কাছাকাছি যায় তখন গরম হয়ে ডাস্ট এবং গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। সেই সময় তাকে অন্যান্য বিভিন্ন প্লানেটের থেকে অনেকটাই বড় দেখতে লাগে। সূর্যের কক্ষপথে কুইপার বেল্টের মধ্যে কোটি কোটি ধূমকেতু ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ডেভিড জেইউট তাঁর স্টাডিতে জানিয়েছেন যে, ধূমকেতুর থেকে যে নিউক্লিয়াস রিফ্লেক্ট হয় তা হল আলোর ৩ শতাংশ। এর ফলে সেটিকে দেখতে কয়লার থেকেও কালো লাগে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সবথেকে বড় ধূমকেতু সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য -
বারনারডিনেলি-বার্নস্টাইন ধূমকেতু C/2014 UN271 নামেও পরিচিত। এটি অন্যান্য ধূমকেতুর থেকে অনেকটাই বড়। জনপ্রিয় হেল-বুপ ধূমকেতু সাইজে এর অর্ধেক।
আরও পড়ুন- মুরগি কবে থেকে গৃহস্থ বাড়িতে জায়গা পেয়েছে, জানেন?
বারনারডিনেলি-বার্নস্টাইন ধূমকেতু প্রতি ৭৫ বছরে একবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যায়। বারনারডিনেলি-বার্নস্টাইন ধূমকেতুর বিশাল সাইজ হলেও পৃথিবী থেকে এটি খালি চোখে দেখা যায় না। কারণ বারনারডিনেলি-বার্নস্টাইন ধূমকেতু পৃথিবীর থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
বারনারডিনেলি-বার্নস্টাইন ধূমকেতু সূর্যের কক্ষপথ একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩ মিলিয়ন বছর।
ডেভিড জেইউট এবং তাঁর টিম তাঁদের স্টাডিতে জানিয়েছেন যে, বারনারডিনেলি-বার্নস্টাইন ধূমকেতু সম্পর্কে এই সব তথ্যকে হিমশৈলের চূড়ার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
এটি আকারে এবং সাইজে অন্যান্য ধূমকেতুর থেকে অনেকটাই বড় হলেও সূর্যের চারপাশে এমন অনেক ধূমকেতু প্রদক্ষিণ করে চলেছে। ফলে, গবেষণার এখনও প্রায় সবটাই বাকি!