খোদ রাজধানী থেকে সম্মানিত হওয়া পায়েলের কাছে নতুন কিছু নয় ; কিন্তু এবার পায়েলের কাছে সম্মানটা একদম অন্যরকম! কারণ দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেল থেকে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী এবং রাজ্যসভার সাংসদ জয়া প্রদা এক্সেলেন্স ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতে। আর এই সম্মান পায়েল ডেডিকেট করেছেন অ্যাসিডে আক্রান্ত মেয়েদের, ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের। পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে খানিকটা আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েছিলেন পায়েল, বলছেন ‘‘আজ এই সম্মান আগামীদিনে আমার কাজকে আরও দায়বদ্ধ করে তুলল; এটুকু বলতে পারি বাংলাতে ফিরে সকল মানুষ অন্যরকম ভাবে অন্য পায়েলকে দেখতে পাবেন।’’
advertisement
অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ সেবার কাজগুলি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গিয়েছেন পায়েল। কখনও অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাদের সঙ্গে কাজ তো, আবার কখনও বা ক্যানসারের মতো মারণ রোগ জয় করে ফিরে এসেছেন, এমন মানুষদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছেন তিনি। শুধু রূপ নয়, একই সঙ্গে গুণেরও পরাকাষ্ঠা স্থাপন করে চলেছেন নিরন্তর!
ইতিপূর্বে রাজধানীতে উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী সতীশ চন্দ্র দ্বিবেদীর হাত থেকে ‘শ্রেষ্ঠ সমাজসেবিকা’ হিসেবে ‘ভারতীয় যুব ইন্সপিরেশন’ সম্মান অর্জন করেছিলেন পায়েল মিঠাই সরকার। চলতি বছরেই ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে দিল্লি দূরদর্শন ভবনের এল. টি.জি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের। আর এটি আয়োজন করেছিল গভর্নমেন্ট অফ এনসিটি দিল্লি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র এবং প্রথম মহিলা হিসেবে এই সম্মান গ্রহণ করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন পায়েল মিঠাই সরকার।
অভিনেত্রীর কথায়, “আপনাদের সকলকে আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ভালবাসা জানাতে চাই। এটা কোনও সাধারণ সম্মান নয়। অনেক দিন ধরেই আমি অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করে চলেছি। আমার একটা বৃদ্ধাবাসও রয়েছে। সেখানে ৯ জন বৃদ্ধা এবং ২ জন ক্যানসার জয়ী দেখভাল করা হয়। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমাজসেবার কাজে সর্বদাই আমার অনুপ্রেরণা রূপে কাজ করেছেন। আর সব সময়ই তাঁর কাছ থেকে অঢেল ভালবাসা পেয়েছি।”
