বহু বাঙালির অন্যতম পছন্দের কেক বাপুজি। বাপুজি কেক মানে অনেকের কাছে আলাদা আবেগ। বাংলার বিভিন্ন চায়ের দোকানে গেলে ৭ টাকার বাপুজি কেক পাওয়া যাবেই। স্বাদে অসাধারণ। এক কাপ চা আর বাপুজি কেক মানেই ভরপেট আহার।
চলতি পথে বহু মানুষ রোজ এই কেক খান। এই কেকের ইতিহাস জানলে অবাক হবেন। এই কেক তৈরির সময় সব থেকে বেশি নজরে রাখা হয়েছিল পড়ুয়াদের কথা। চটজলদি টিফিনের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয় এটি। ১৯৭৩ সালে হাওড়া নিবাসী ব্যবসায়ী অলোকেশ জানা একটি বেকারি তৈরি করেন নিউ হাওড়া বেকারি নামে। প্রথম ইউনিট খোলেন হাওড়ার পল্লব পুকুর এলাকায়। হাওড়ার পাশাপাশি শ্রীরামপুর ও লেকটাউনেও শুরু হয় নতুন ফ্যাক্টারি! ভাল কেক বানানোই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য!
advertisement
আরও পড়ুন- স্পেস স্টেশনে সুনীতা উইলিয়ামসরা রোজ কত কত খেতেন জানেন, আন্দাজ আছে কী পরিমাণ জল লাগত
অলোকেশ বাবুর পরে বাপুজি কেকের বর্তমান কর্ণধার তাঁর দুই ছেলে। বাপুজি কেকের স্বাদ, দাম, মান সবকিছুই যেমন বাজারে বিক্রির জন্য প্রধান ইউএসপি, তেমনই আরেকটা হল এর কাগজে মোরা প্যাকেট। বর্তমানে বাপুজি কেকের বয়স ৫০ বছরের বেশি। বাংলার বুকে অনেক কেক তৈরি হলেও বাপুজির জায়গা কেউ নিতে পারেনি।
এবার থেকে বাপুজি কেকের নতুন দাম ৮ টাকা। নিউ হাওড়া বেকারি (বাপুজি) প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বলুন তো কাদের এয়ারপোর্টে কোনও ‘সিকিউরিটি চেক’ হয় না? প্লেন পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যায়
এবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির কারণেই মূলত দাম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া গুণগত মান ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সংস্থা। সংস্থার কর্তাদের আশা, দাম বাড়লেও আগের মতো আগামী দিনেও ক্রেতা ও বিক্রেতার সম্পর্ক থাকবে অটুট।
বাপুজি কেকের কর্ণধার অনিমেষ জানা বলেছেন, চার বছর ধরে আমাদের কেকের দাম একই রয়েছে। কেক তৈরি করতে যে কাঁচামাল লাগে সেগুলির দাম বেড়েছে। ফলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কারণ উৎপাদন খরচ অনেকটা বেড়েছে। কেকের গুণগত মান নিয়ে আমরা কোনও আপোষ করব না।”