কর্ণাটকের রায়চূড় জেলার একটি গ্রামে কৃষ্ণা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই কাজ চলাকালীনই ভিতর থেকে ঠক ঠক আওয়াজ শোনা যায়। সেই আওয়াজ অনুসরণ করে খুঁড়তে খুঁড়তেই নদীবক্ষ থেকে ভগবান বিষ্ণুর প্রাচীন বিগ্রহ এবং শিবলিঙ্গের হদিশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন– রাশিফল ১৩ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
advertisement
কৃষ্ণা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহটি পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, সেটি ১২ শতকের পুরনো। সেই বিগ্রহটির চারপাশে দশাবতার খোদাই করা রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এই বিগ্রহটি শুধু প্রাচীনই নয়। সেটির এক বিশেষত্বও রয়েছে। কারণ অযোধ্যায় স্থাপন করা রামলালার মূর্তির সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর এই বিগ্রহটির সাদৃশ্য রয়েছে। আর নদীর যে অংশ থেকে প্রাচীন এবং বিশেষ ওই বিগ্রহ পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে ভগবান শিবের শিবলিঙ্গও উদ্ধার হয়েছে।
যাঁরা সেতু নির্মাণের কাজ করছিলেন, তাঁদের প্রথম চোখে পড়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি। খননকার্যের সময় একটা অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়। যার জেরে বিস্মিত হন দিনমজুররা। ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি এবং শিবলিঙ্গ উদ্ধার হওয়ার পরে সেগুলিকে নিরাপদে বার করে আনা হয়। খবর যায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। এরপরেই সেগুলি নিজেদের দখলে নেয় স্থানীয় প্রশাসন। বর্তমানে এই ভাস্কর্য দু’টি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
কিন্তু কীভাবে মূর্তিটি নদীবক্ষে গিয়ে পড়ল? রায়চূড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ইতিহাস এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার লেকচারার ড. পদ্মজা দেশাই বলেন, এক সময় কোনও এক মন্দিরের গর্ভগৃহে শোভা পেত ওই বিগ্রহ। কিন্তু কোনও কারণে মন্দির ক্ষতির মুখে পড়ার কারণে তা নদীতে গিয়ে পড়েছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদদের বিশ্বাস, ওই বিগ্রহটি একাদশ অথবা দ্বাদশ শতকের পুরনো। এখন তা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।