বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, উৎসবের বিশেষ ভূরিভোজে পাত আলো করে থাকবে খাঁটি বাঙালি খাবার। লোভনীয় এইসব খাবারের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল সহযোগে লুচি, কষা আলুর দম সহযোগে কড়াইশুঁটির কচুরি। কারণ বাঙালি প্রাতরাশ তো লুচি-কচুরি ছাড়া অসম্পূর্ণই থেকে যায়!
advertisement
শুধু কি তা-ই, চায়ের কাপে ঝড় তোলার জন্য চায়ের সঙ্গে ‘টা’ না থাকলে কি হয়? তাই বাঙালিয়ানার মোড়কে সাজানো হয়েছে স্ন্যাকসের তালিকাও। থাকছে খাস্তা কচুরি চাট, ফিশ কবিরাজি, মোচার কাটলেট অথবা এগ চিকেন রোল।
আর লাঞ্চ কিংবা ডিনারেও থাকছে চমক। উৎসবের বিশেষ থালিতে রাখা হয়েছে মাটন কষা, চিংড়ি মাছের মালাই কারি, ধোঁকার ডালনা, ছানার কালিয়ার মতো খাঁটি বাঙালি খাবার। আর চাটনি ছাড়া কি বাঙালিদের খানাপিনা সম্পূর্ণ হয়? একেবারেই না! সে কথা ভেবেই রাখা হয়েছে আম অথবা আনারসের চাটনিও।
শেষ পাতে মিষ্টিমুখের কথা তো এখনও বলাই হয়নি! এয়ার ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, মিষ্টিমুখেও থাকবে দুর্দান্ত চমক। কারণ মিষ্টির পাতে রাখা হয়েছে মিহিদানা, বোঁদে, দরবেশ, কালোজাম এবং পান্তুয়ার মতো বাঙালি মিষ্টিও। ফলে পুজোর মরশুম হতে চলেছে জমজমাট।
এটাই প্রথম বার নয়, এর আগেও এহেন উদ্যোগ নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। আকাশপথেই যাতে কোচি, ত্রিবান্দ্রমের ভ্রমণার্থীরা ওনাম উৎসবের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য বিশেষ মেন্যু সাজিয়েছিল ওই বিমান সংস্থা। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক – সমস্ত উড়ানের খাদ্যতালিকার ক্ষেত্রেই সময়ে সময়ে আনা হয়েছে বদল। যাতে অতিথিদের রসনাতৃপ্তিতে কোনও রকম ঘাটতি না থাকে।