তরাই অঞ্চলে হাতি ও মানুষের সংঘাত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কখনও হাতির হানায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আবার কখনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। কখনও বা দাঁতালের তাণ্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এই অবস্থায় তরাই অঞ্চলের হাতির স্বভাব ও চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্ৰহণ করল একটি স্বেচ্ছাসেবী।
advertisement
মঙ্গলবার সংগঠনের সদস্য, বনকর্মী ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে হাতি চিহ্নিতকরণের জন্য তিন দিনের একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির ধিমাল কমিউনিটি হলে ‘বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এলিফ্যান্ট প্রোফাইল, আন্ডার দি প্রজেক্ট অফ পাইলট ইন হোলিইস্টিক হিউম্যান এলিফ্যান্ট সলিউশন, ইন দা কাঞ্চনজঙ্গা ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কখনও নেপাল থেকে ভারতে, আবার ভারত থেকে নেপালে হাতি ঢুকে পড়ে। এই অবস্থায় এক একটি হাতির স্বভাব চরিত্র কেমন তা চিহ্নিত করতেই এই কর্মশালা। এর মাধ্যমে হাতি দেখেই আগাম সতর্কতা নেওয়া যেতে পারে দাবি সংগঠনের। সংগঠনের সহকারী ডাইরেক্টর জানান, হাতির কান ও দাঁত দেখে তার স্বভাব অর্থাৎ হিংস্র না শান্ত প্রকৃতির তা চিহ্নিত করে তার ডেটাবেস তৈরি করা হবে। যা হাতি প্রবণ এলাকা এবং বনদফতরকে কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে। তিন দিনের কর্মশালায় সাফল্য পেলে আগামীদিনে উত্তরবঙ্গের হাতি প্রবণ এলাকায় এধরনের কর্মশালা করা হবে।