কেউ সরকারি কর্মচারী, তো কেউ স্কুল শিক্ষিকা। এরাই চতুর্থ দফার ভোটের আগে সময়মত পৌঁছে গিয়েছিলেন বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রগুলিতে। কোচবিহারে মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৪০৩। মহিলা ভোটকর্মীর সংখ্যা ১৯৩৬ জন। শুক্রবার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজে ভোটের সরঞ্জাম মিলিয়ে দেখে নিতে দেখা গেল মহিলা ভোটকর্মীদের। বেশিরভাগ মহিলারই প্রথমবার ভোটের কাজের সুযোগ পেয়েছেন ৷ তাই তাঁরা এবিষয়ে একটু নার্ভাস ৷ পাশাপাশি এই কাজ করতে পেরে তাঁরা বেশ আনন্দিতও ৷
advertisement
এই প্রথমবার আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ করবেন মহিলারা ৷ আলিপুরদুয়ার জেলায় এবার মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা ২৩৯। আলিপুরদুয়ার জেলার মহিলা ভোট কর্মীরা জানান, এই প্রথম তাঁরা ভোট করাতে যাচ্ছেন, তাই বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তিত ৷ তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় অনেকটাই নিশ্চিন্ত তাঁরা ৷ আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল কারও কারও গলায়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রথমবার অংশ নিতে পেরে উৎসাহের পারদ তুঙ্গে।
আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামে মহিলা বুথ রয়েছে ৫৫টি,আলিপুরদুয়ার বিধানসভার মহিলা বুথ রয়েছে ১১৬টি। ফালাকাটাতে ৫২টি মহিলা বুথ রয়েছে । পাশাপাশি মাদারিহাটে মহিলা বুথ রয়েছে ৩৫টি। জেলায় স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৩০০টি ৷ বক্সার জঙ্গল সংলগ্ন বুথ রয়েছে ১১৮টি ।
এর আগেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য দফায় দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ভোটকর্মীদের। সেখানেই ইভিএম ও ভিভিপাট মেশিন চালানোর যাবতীয় খুঁটিনাটি শিখে নিয়েছেন তাঁরা। অনেকের আগে ভোট গ্রহণের অভিজ্ঞতা থাকলেও একটা বড় সংখ্যার মহিলা কর্মী এবারেই প্রথম এই কাজে এসেছেন।
এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে বুথের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে হয়েছে ভোট কর্মী সংখ্যা। একইসঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে মহিলা ভোট কর্মীদের সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি। তাই জেলাস্তরে নির্বাচন কমিশনের তরফে মহিলা কর্মীদের ভোট গ্রহণের কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিকাঠামোর বিষয়টি বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে কী কী করনীয় সে ব্যাপারেও তাঁদের সবিস্তারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।