সুখি দম্পতি হিসেবে কলকাতার পার্কসার্কাসে শুরু সংসার। কিন্তু একবছরের প্রেম ফুড়োতে সময় লাগেনি ছয় মাস। চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে হঠাৎ বেপাত্তা সুভাষ চন্দ্র দাস। স্বামীর খোঁজে কোলকাতার তপসিয়া থানায় মিসিং ডায়েরি রুজু করেন স্ত্রী পিঙ্কি সাহা।
আরও পড়ুন- শাসক-বিরোধী তরজা উধাও! পুরভোট যেন উৎসব! প্রার্থীরা আটকে সকলেই 'মৈত্রী'র বন্ধনে
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটার মাঝে দেখিয়েছে মোবাইলের স্বামীর শেষ লোকেশন। সেই সূত্রেই এক সপ্তাহ যাবত ধূপগুড়িতে ঘাঁটি গেড়ে স্বামীকে খুঁজে চলেছে তরুণী। বাংলায় এমএ, বিএড ওই তরুণীর বাড়ি কলকাতার বিধাননগরে৷ তিনি জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের পর একটি অনলাইন গানের অ্যাপের মাধ্যমে সুরে সুর মিলে যায় দুজনের৷ এর পরেই বিয়ে আর তারপর এমন ঘটনা।
বেপাত্তা হয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরিয়ে নিতে ধূপগুড়ি চষে ফেলা তরুণী বলেন, একটিবার সামনা সামনি দাড়াতে চাইছি৷ নিজেকে প্রতারিত ভাবব নাকি বোকা, তাই বুঝতে পারছি না। তবে সব কিছুর পরে ওকেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
বাবু সাহা, প্রতারিত তরুনীর দাদা জানান, আমার বোন পিংকি সাহার সাথে সুভাষ দাস নামের এই ছেলেটির পরিচয় ফেসবুকে এবং তার মাধ্যমেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়ির অমতে আমার বোন এই যুবকটির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং কালীঘাটে সিঁদুর দানের মাধ্যমে বিয়ে হয়। প্রথমে আমরা এই সম্পর্ককে মেনে নেইনি। বিগত ছয় মাস ধরে তারা একসাথে সংসার করছিল। কী কারণে এভাবে ওকে ছেড়ে পালিয়ে গেল তা আমরা জানিনা।
যুবতীর দাদাকে কলকাতার থানা থেকে জানিয়েছে, ওই যুবকের শেষ মোবাইল লোকেশন ধূপগুড়ি তে দেখিয়েছে। তাই তাঁরা ছুটে এসেছেন সেই ছেলেকে খুঁজতে।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবার মেয়র পদে গৌতমের শপথ, আমন্ত্রণ পেয়েও থাকবেন না অশোক, শঙ্কর
ধূপগুড়ি স্থানীয় বাসিন্দা পাপ্পু দাস জানান, পিংকি সাহা নামে এই তরুণী ধূপগুড়ি বাস স্ট্যান্ডে নিজেই পোস্টার লাগাচ্ছে তাঁর স্বামীর খোঁজে। মেয়েটি মানুষের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তাঁর স্বামীকে কেউ দেখেছে কিনা! দেখলে পরে যেন নির্দিষ্ট ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, সাত দিন ধরে খুঁজে পাচ্ছেন না স্বামীকে। সেই যুবতী যুবকের পরিচয় সম্পর্কে জানিয়েছে, বর অসমের বাসিন্দা।