শিশুদের এই নতুন বিপদের কারণে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে আরও ১৫টি বেড বাড়ানো হয়েছে। শিশু ও তাঁদের মায়েদের করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (র্যাট) করানোর নির্দেশও জারি করা হয়েছে। তবে, আশার খবর হল, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোন শিশু বা তাদের মায়েদের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি।
advertisement
ঠিক কী কারণে এই পরিস্থিতি? জানা গিয়েছে, হঠাৎ জ্বর ও পেট খারাপ নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুদের অধিকাংশই ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির বাসিন্দা। স্বাভাবিক কারণেই জেলার এই জায়গাগুলির দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। যদিও চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বর ও পেট খারাপের এই সমস্যা নিয়ে এখনই ভয়ের কিছু নেই।
তবে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আগত শিশুদের প্রায় সকলেরই জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা রয়েছে। বেশ কয়েকজন শিশুর পেট খারাপও হয়েছে। শিশু ও তাদের মায়েদের কোভিড টেস্ট করা হলেও এখনও সমস্ত রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। জানা গিয়েছে, মূলত একদম ছোট শিশুদের ক্ষেত্রেই জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে, শিশুদের সমস্যার কথা ভেবেই সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'রায় ঘোষণা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ নেই!' পেগাসাসে সুপ্রিম-মন্তব্যে চাপে কেন্দ্র?
প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই অজানা জ্বরের আতঙ্কে কাঁপছে বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ। ইতিমধ্যেই অজানা জ্বর প্রাণ কেড়েছে ৯০ জনের। একইসঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের বেড ইতিমধ্যেই ফুরিয়ে এসেছে। এমনকী বেড প্রতি দুজন শিশুকেও ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ থেকেই এই অজানা জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়। ফিরোজাবাদে ৫৫ জনের প্রাণ গিয়েছে এই জ্বরে। এছাড়াও উত্তর প্রদেশের ৭টি জেলার বহু মানুষ এই অজানা জ্বরে ভুগছেন। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ ছাড়াও কাশগঞ্জ, উটা, মথুরা, ফারুক্কাবাদ, প্রয়াগগঞ্জ এবং মিরাটের একাধিক জায়গায় থাবা বসিয়েছে এই অজানা জ্বর। তবে, জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যা নেই বলেই জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে।