পরিবার সূত্রে খবর, ২০০২ সালে মালদা জেলার গাজোল থানায় গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা চন্দনা দাসের সাথে রায়গঞ্জ দেবীনগর এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর দাসের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পর চন্দনা উপর অত্যাচার করত স্বামী শঙ্কর দাস। প্রতিদিন মদ্যপ অবস্থায় শঙ্কর তার স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ।
advertisement
প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও শঙ্কর মদ্যপ অবস্থায় এসে তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করছিল। এদিন চন্দনার ভাই বোনের শ্বশুর বাড়িতে ছিল। সেই সময় বোনের উপর অত্যাচার করতে দেখে দুইজনকে সরিয়ে দেয়।
এরপর রবিবার ভোর চারটা নাগাদ তার বোনের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে তার ভাই ছুটে আসে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চন্দনার ভাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এই ঘটনায় চন্দনের পরিবারের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ স্বামী শঙ্কর দাসকে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চন্দনার ভাই বিপুল প্রামানিক জানিয়েছেন, আমার দিদির সাথে প্রতিনিয়ত মদ্যপ অবস্থায় এসে অত্যাচার করতো। উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানায় ভাই বিপুল।