বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর প্রধান কারণ মানুষের অসৎ মাছ ধরার পদ্ধতি। নদীতে বিষ প্রয়োগ, ডিনামাইট ফাটিয়ে মাছ মারা, ব্যাটারি চালিত যন্ত্র ব্যবহার করে মাছ ধ্বংস করা, এসব মারাত্মক প্রভাব ফেলছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। শুধু মাছ নয়, নদীর প্রাকৃতিক ভারসাম্যও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
advertisement
এই সংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা ড. বিমল কুমার চন্দ। পেশায় তিনি ছিলেন তেরাই স্কুলের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক ও সহ-প্রধান শিক্ষক। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাছ নিয়ে বিশেষ গবেষণা করার পর, ২০০৬–০৭ সালে তিনি NAFF এবং বনদফতরের সহযোগিতায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী ও অরণ্যে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন। গরুমারা, চাপড়ামারি, বক্সা, জলদাপাড়া, গোসাইহাটসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গিয়ে তিনি মাছের অস্তিত্ব ও তাদের বৈচিত্র্যের খোঁজ নেন।
সম্প্রতি তিনি তাঁর গবেষণার ফলাফল নিয়ে প্রকাশ করেছেন একটি গ্রন্থ, “উত্তরবঙ্গের মাছ বৈচিত্র ও সংরক্ষণ”। সেখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিলুপ্তপ্রায় ও হারিয়ে যাওয়া মাছের বিস্তারিত তথ্য।
উত্তরবঙ্গের নদ-নদী একসময় যেমন ছিল দেশজ মাছের ভাণ্ডার, আজ তা দ্রুত শূন্য হয়ে যাচ্ছে। নির্বিচারে মাছ ধরা ও অসৎ পদ্ধতির ব্যবহার বন্ধ না হলে এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য চিরতরে বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। আগামী প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন এখনই সচেতনতা ও সংরক্ষণের উদ্যোগ।