সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় এই ফলাফল নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে৷ ২০১৯ ও ২০২১ সালে উত্তরের যে সব জায়গায় বিজেপি ভাল ফল করেছিল, সেখানে গেরুয়া শিবিরের জমি দুর্বল হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের৷ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার ছাড়া উত্তরের আর কোনও জেলা নিয়ে তথাকথিত অভিযোগ করেনি বিরোধীরা। এমনকি, আলিপুরদুয়ার জেলা, যা চা-বলয়ের ভোট৷ সেখানেও ফল ভাল তৃণমূলের।
advertisement
আরও পড়ুন: কার দখলে বাংলার গ্রাম? পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল লাইভ দেখুন শুধুমাত্র নিউজ ১৮ বাংলা-য়
জঙ্গলমহল, বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মতো জেলায় যেখানে ধারাবাহিক ভাবে খারাপ ফল হয়েছিল, সেখানে বদল হচ্ছে বলে মনে করছে শাসকদল।
তবে, মুর্শিদাবাদের ফলাফল নিয়ে আলাদা করে পর্যালোচনা করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পরে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখানে শাসকদলকে ভালই টক্কর দিয়েছে কংগ্রেস-বামের। প্রার্থী বাছাই, বিধায়কদের বিদ্রোহ ইত্যাদি বিষয় এগুলির কারণ কি না তা নিয়ে, অনুসন্ধান শুরু করেছে শাসকদল।
রাণাঘাট-বনগাঁ-চাকদহ মতুয়া ভোট ফেরানো সম্ভব বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। শতাংশের বিচারে ভোট নিচুতলায় মিলছে বলে শাসকদলের রিপোর্ট।
আরও পড়ুন: ভোটগণনার দিনেও দফায় দফায় উত্তেজনা! বিজেপি বিধায়কের গাড়িতে ইট, মুর্শিদাবাদেও অশান্তি
পূর্ব মেদিনীপুর, বিশেষ করে নন্দীগ্রাম নিয়ে পর্যালোচনা করতে চায় তারা। কারণ কাঁথি, তমলুক দুই লোকসভা আসন টার্গেট করেছে তৃণমূল। এবার পঞ্চায়েত ফলে প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল নাকি নেতৃত্বের সমস্যা তা দেখতে চায় তারা।
আপাতত, জেলা পরিষদের আসনের দিকে চেয়ে শাসক দল। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত বা নিচু তলায় যে ভোট মিলেছে তাতে হেরে যাওয়া বা পিছিয়ে থাকা এলাকায় ভোট মিলছে তৃণমূলের।