এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলাধার ভাঙার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদহের চাঁচল- ১ ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্বিনপুর গ্রামে তৈরি হয়েছিল সরকারি পানীয় জলাধার। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল সাধারণের ব্যবহারের এই জলাধার। রং করা ছাড়া বাকি সব কাজই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, এলাকার একদল যুবক ঠিকাদারের কাছে কয়েক হাজার টাকা 'কাটমানি' দাবি করেছিলেন। কিন্তু, ঠিকাদার ওই কাটমানি দিতে রাজি হননি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া... ভারী বৃষ্টি, বজ্রঝড়! আবহাওয়ার বড় সতর্কতা ঘোষণা IMD-র
এরপরেই দিনের আলোয় ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই নবনির্মিত পানীয় জলাধার। ইতিমধ্যে ভাঙচুরের ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। (যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ-18 বাংলা)। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন হাতে হাম্বার ও শাবল নিয়ে নবনির্মিত জলাধারটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে ওই জলাধার তৈরি হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত ঠিকাদারের অভিযোগ, ওই এলাকার একদল যুবক পাঁচ হাজার টাকা কাটমানি দাবি করেছিল। কাজ করার সময়ও নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কাটমানি না মিললে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। কাটমানি না দেওয়াতেই এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত ঠিকাদারের।
এনিয়ে ব্লক প্রশাসন এবং চাঁচোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারপ্রাপ্ত ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলি। এদিকে নবনির্মিত পানীয় জলাধার এভাবে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদের সরব হয়েছে চাঁচল-১ নং ব্লক ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশন। ব্লক প্রশাসনের সদর দফতরে এনিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে অন্যান্য ঠিকাদাররাও একই ধরনের সমস্যার মুখে পড়বেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের । অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন ঠিকাদাররা।
প্রশাসন অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে চাঁচলে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে, ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে কাটমানির দাবি এবং জলধার ভাঙার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধী বিজেপির অভিযোগ, ঘটনার পেছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে। কারণ, তৃণমূল ছাড়া অন্য কেউ এভাবে কাটমানির দাবি করে না। শাসক দলের মদত না থাকলে কেউ প্রকাশ্যে এভাবে জলাধার ভেঙে ফেলতে পারত না। যদিও এরসঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে পাল্টা দাবি করেছেন চাঁচোল তৃণমূল নেতৃত্ব। বরং রাজনৈতিক রঙ না দেখে এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে তৃণমূলও। এদিকে পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সেবক দেবশর্মা