জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দশম শ্রেণীর পড়ুয়া বছর ১৫-র এক ছাত্রীর বিয়ের উদ্যোগ নেয় পরিবার। ওই কিশোরীর মতামত না নিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ের ব্যবস্থাপনা চলছিল। কিন্তু, বিয়ে রুখতে চাইল্ড লাইনের ফোন নম্বর '১০৯৮' ডায়াল করে নাবালিকা। নাবালিকা বিয়ের পরিকল্পনার কথা জেলা চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা জানতে পারেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পৌঁছয় চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে যাতে না দেওয়া হয় এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয়।
advertisement
পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে একটি 'মুচলেকা' পুলিশের তরফে লিখে নেওয়া হয়। নাবালিকার বিয়ে দিলে কি ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সে বিষয়েও পরিবারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অন্যান্য গ্রামবাসীদেরও কোনও কারও বাড়িতে নাবালিকার বিয়ে না দেওয়ার জন্য সচেতন করেন পুলিশ প্রশাসন ও চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা।
এদিন পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে ওই ছাত্রীর জানায়, আরও পড়াশোনা করতে চাই সে। অন্যদিকে পরিবার দাবি করে, অনেক সম্বন্ধ আসছে মেয়ের জন্য।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যে ফের অমিত শাহ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোড়া সভার ইঙ্গিত কোথায় কোথায়?
তবে বিয়ে চূড়ান্ত করা হয়নি। নাবালিকা ও পরিবারের বক্তব্য শোনার পর পুলিশের তরফ থেকে নাবালিকাকে নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিয়ে আসা হয়। কোনওভাবে বিয়ের উদ্যোগ, আয়োজন হলেই ফের পুলিশকে জানাতে বলা হয় নাবালিকাকে। মালদা চাইল্ড লাইনের কর্মী চিন্ময় দাস বলেন, ফোন মারফত নাবালিকা বিয়ের খবর প্রথম জানা যায়। সেইমতো পুলিশকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসে মেয়ের পরিবারকে বাল্যবিবাহের সমস্যা সম্পর্কে বোঝানো হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে পরিবারকে কথা দিয়েছে। শুধু ওই পরিবারই নয়, আশপাশের অন্যান্য পরিবারের লোকজনকেও বাল্যবিবাহের সমস্যা সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে এদিন।