পুরসভায় মোদি বা অমিত শাহ কেউই নেই। যারা মুখ তারা আদপে বুথস্তরের মুখ। তা দিয়ে পুরসভা ভোটে জয় করা সম্ভব নয়। কলকাতা পুরভোটেই ওদের ভোটের শতকরা হার কমেছে। সাফ কথা বলছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার। তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী গৌতম দেব বলেন, ওঁরা একটা আসনও পাবে না। যে দলটার বাংলায় কোনও সংগঠনই নেই, অপ্রাসঙ্গিক। তারা পুরভোটের মতো এই মাইক্রো লেবেলে গিয়ে কী কাজ করবে? আর লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন আলাদা প্রেক্ষিতে হয়েছে, দাবি তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেবের।
advertisement
আরও পড়ুন: লকডাউনের সিদ্ধান্ত জলপাইগুড়িতে, করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা?
বামেদের দাবি, কলকাতা পুরভোটের ফলই প্রমাণ করে দিয়েছে গেরুয়া ক্রমেই ফিকে হয়ে গিয়েছে। ভোট পাওয়ার শতকরা হিসেবে কলকাতায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। জেলাগুলিতেও পিছোবে বিজেপি। কলকাতার ফলে অক্সিজেন ফিরে পেয়েছে লাল শিবির। একদা লাল দূর্গ হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ির বাম নেতাদেরও দাবি, ফের ভোট ফিরে আসবে ঘরে। শিলিগুড়ি পুরসভা আবারও লালের দখলেই ফিরবে বলে দাবি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ কমলেও দেশজুড়ে বাড়ল করোনায় মৃত্যু! শিকার বাড়ল ওমিক্রনেরও
আর বিজেপির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ওরা ওদের কথা বলবে। বাস্তবে দার্জিলিং লোকসভা থেকে শিলিগুড়ি-সহ লাগোয়া সব আসনেই বিজেপি বিধায়কেরা জিতেছেন। স্বপ্নে ওরা পোলাও বানাচ্ছেন। তাতে যত ইচ্ছে ঘি ঢালছেন। ঢালুন। ওদের আগে আয়নার সামনে দাঁড়ানো উচিৎ। এ বার একটাই স্লোগান, 'গড়বে শিলিগুড়ি, এ বার বিজেপি।'
Partha Sarkar