পাশাপাশি মালবাজার পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের হাতে যে ওয়ার্ডগুলো, সেগুলো হল; ১ নম্বর ওয়ার্ডে স্বপন সাহা (প্রাপ্ত ভোট - ৮৩৯), ২ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিন গোলদার (প্রাপ্ত ভোট - ১১৬২), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মঞ্জু দেবী (প্রাপ্ত ভোট - ৪২২), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুরজিৎ দেবনাথ (প্রাপ্ত ভোট - ৮১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দোলা সিনহা (প্রাপ্ত ভোট - ৫৬১), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অমিতাভ ঘোষ (প্রাপ্ত ভোট - ৫২৫), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মনিকা সাহা (প্রাপ্ত ভোট - ৯১৪), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রুমা দাস দে (প্রাপ্ত ভোট - ৫১৬), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নারায়ন দাস (প্রাপ্ত ভোট - ৪২৮), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অজয় লোহরা (প্রাপ্ত ভোট - ৮৫৯), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সরিতা গিরি (প্রাপ্ত ভোট - ৭৮৩), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে উৎপল ভাদুড়ী (প্রাপ্ত ভোট - ১০১৫), ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে লিলি পুষ্পা টোপ্পো মুর্মু (প্রাপ্ত ভোট - ৭৭০) এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিলন ছেত্রী (প্রাপ্ত ভোট - ৬৮৩)। অন্যদিকে, বিজেপির হাতে একটি ওয়ার্ড যায়। তাহল ৪ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে সুশান্ত সাহা জয়লাভ করেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট - ৪৭০।
advertisement
একই ফলাফলের চিত্র ময়নাগুড়িতেও। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ময়নাগুড়িকে উন্নীত করা হয় পুরসভায়। সেই পুরসভারও ভাগ্য নির্ধারণ হয় বুধবার। আর প্রথম নির্বাচনেই ২৪ হাজার ৪০০ জনসংখ্যার এই শহরে বাজিমাত করল ঘাসফুল শিবির। ময়নাগুড়ির ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডে জয়ের ধ্বজাধারী তৃণমূল কংগ্রেস। যে ওয়ার্ডগুলি তৃণমূলের ঝুলিতে গেল, সেগুলো হল; ১ নম্বর ওয়ার্ডে রিম্পা রায় (প্রাপ্ত ভোট - ১৪৯৬), ২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্ণালী বড়াই (প্রাপ্ত ভোট - ১০৬০), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৌসুমী সেন (প্রাপ্ত ভোট - ১৩০২), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সোমেশ সান্যাল (প্রাপ্ত ভোট - ১০০১), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অনন্ত দেব অধিকারী (প্রাপ্ত ভোট - ৭০২), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বরুণ ঘোষ (প্রাপ্ত ভোট - ৭৫৯), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রীতা দাস (প্রাপ্ত ভোট - ৬৯০), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রদ্যোৎ বিশ্বাস (প্রাপ্ত ভোট - ৭৮৫), ৯ নং ওয়ার্ডে গোবিন্দ পাল (প্রাপ্ত ভোট - ৮৬৩), ১০ নং ওয়ার্ডে চন্দনা রায় (প্রাপ্ত ভোট - ৮৫৯), ১১ নং ওয়ার্ডে মনোজ রায় (প্রাপ্ত ভোট - ৮৫৬), ১৩ নং ওয়ার্ডে রিনা বিশ্বাস (প্রাপ্ত ভোট - ৪৬৪), ১৪ নং ওয়ার্ডে কল্যাণ কুমার সাহা (প্রাপ্ত ভোট - ৭৭১), ১৫ নং ওয়ার্ডে অমিতাভ চক্রবর্তী (প্রাপ্ত ভোট - ৫১৪), ১৬ নং ওয়ার্ডে ললিতা রায় (প্রাপ্ত ভোট - ১০৭৭), ১৭ নং ওয়ার্ডে সুপ্রিয় দাস (প্রাপ্ত ভোট - ৯৫৯)। তবে, ১২ নং ওয়ার্ড নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছেন তুহিন কান্তি চৌধুরী এবং তিনি জয়লাভও করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭৫১।
তবে 'খেলা' হল না দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে। সেখানে ৬ মাসের শিশুর কাছে ধূলিসাৎ হল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মতো দল। দার্জিলিং পুরসভায় এবার অজয় এডওয়ার্ডের তৈরি নতুন দল হামরো পার্টি ১৮টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে। সেখানে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ঝুলিতে ৮টি ওয়ার্ড, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ৪টি ওয়ার্ড এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র ২টি ওয়ার্ড রয়েছে। দার্জিলিং পুরসভায় যাঁরা জয়লাভ করেছেন তাঁরা হলেন; ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম প্রার্থী দোর্জে ডুকপা, ২ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি প্রার্থী দীপেন ঠাকুরি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম প্রার্থী পেমা ছোদেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি প্রার্থী গণেশ প্রধান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয় গুরুং, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি প্রার্থী অরুনা রাই, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী বিষ্ণু মাল্লা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী দর্জি শেরপা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী সুজাতা শঙ্কর, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী সুধা রাই, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী সন্ধ্যা থাপা বরেইলি, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী সুষমা তামাং, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী শরন কুমার ছেত্রী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী মণি লামা তামাং, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী দেবীকা ইয়লমো, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী পেমিলা দোর্জে ভুটিয়া, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম -প্রার্থী নিতেশ গুরুং, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস -প্রার্থী গণেশ সার্কি, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী সিতম লামা, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী নিতা তামাং, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম -প্রার্থী রত্না লামা, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মোর্চা -প্রার্থী জ্ঞ্যানে সিং, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম -প্রার্থী প্রতিভা রাই, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম -প্রার্থী অমর লাম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী ইয়াংজি শেরপা, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম -প্রার্থী মুকুন্দরাজ বরেইলি, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোর্চা -প্রার্থী প্রবীন কালিকোটে, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোর্চা -প্রার্থী কল্পনা তামাং, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোর্চা -প্রার্থী মনোজ থাপা, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী প্রিয়া দিক্ষিত, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে হামরো পার্টি -প্রার্থী রিতেশ পোর্টেল, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিপিএম -প্রার্থী বিজয় গজমের।
Vaskar Chakraborty