জানা গিয়েছে,সোমবার দুপুরে মহবুব মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটে ছিলেন। আর তাতেই বাজিমাত। সন্ধ্যার পর রেজাল্ট জানতে গিয়ে নিজেই হতবাক মহবুব। জানতে পারেন, প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। চোখের সামনে এমন রেজাল্ট দেখে প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি তাঁর। এরপর খানিকক্ষণের মধ্যে যেন ঘোর কাটে। কী করবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছিলেন না মহবুব আলম। দিন-আনা,দিন-খাওয়া মহবুব ভাগচাষী থেকে হঠাৎ করে কোটিপতি হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন। তাই তিনি তড়িঘড়ি লটারির টিকিট নিয়ে হাজির হন কুমেদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। সব শুনে উপস্থিত পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের মধ্যেও হইচই পড়ে যায় মহবুবকে নিয়ে। কোটিপতির নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন ফাঁড়ির পুলিশরাও। এরপর কুমেদপুর ফাঁড়ির পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মহবুব পৌঁছে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।
advertisement
আরও পড়ুন-আজ লটারিতে কার ভাগ্যে জুটল জ্যাকপট ? দেখুন দুপুর ১টা, ৬টা ও রাত ৮টার রেজাল্ট
কিন্তু রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার পর কী ভাবছেন মহবুব। কী ভেবেই বা লটারির টিকিট কিনেছিলেন? মহবুব আলম জানান, তিনি একজন ভাগচাষী। তাঁর ভাঙা বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।অন্যের জমি চাষবাস করে কোনওরকমে সংসার চলছিল। তবে, অবস্থা ফেরার স্বপ্ন নিয়ে প্রায়শই লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। এদিনও মাঠ থেকে কৃষিকাজ সেরে ফেরার পথে কুমেদপুরে এক লটারি টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে ওই লটারির টিকিট কাটেন। ভাবতে পারেননি, ওই ৩০ টাকার লটারির টিকিট তাঁর জীবনের চাকা এভাবে ঘুরিয়ে দেবে, মুহূর্তে কোটিপতি হয়ে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন-দূর হবে নেতিবাচক প্রভাব, জীবন হবে সাফল্যে পরিপূর্ণ- সঙ্গে থাক কেবল একটি জবা ফুল!
কিন্তু এতদিন যেভাবে অত্যন্ত কষ্ট করে জীবন চলতো, এখন কোটি টাকা নিয়ে কী করবেন? মহবুব জানিয়েছেন, নিজের একটি ভাল বাড়ি তৈরির ইচ্ছে রয়েছে। পাশাপাশি নিজের ছেলে, মেয়েদের ভালোভাবে পড়াশোনা শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি। তবে এভাবে হঠাৎ করে ‘কোটিপতি’ হয়ে গিয়ে যেন গ্রামের বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন মহবুব। তাঁকে দেখতে রীতিমত ভিড় করছেন লোকজন। অনেকেই বলছেন, এমন ভাগ্য আর ক’জনের বা হয়। আবার কেউ বলছেন, এমন হতদরিদ্রদের কপালেই তো লটারি জেতা উচিত। সবমিলিয়ে তাঁর লটারিতে ১ কোটি টাকা জেতার খবর শুনে বেজায় খুশি আত্মীয়-পরিজন থেকে গোটা গ্রাম।