প্রতি বুথের আলাদা আলাদা করে বৈশিষ্ট্য তৈরি করা হয়েছে। কোন বুথে কী কী চাহিদা তৈরি হচ্ছে তার তালিকা। বুথ ঘুরে ঘুরে সম্মেলন থেকে ২৬’এর রোডম্যাপ বানানো হবে। শুক্রবার থেকে নজরে যে সব এলাকা– নাগরাকাটা, মালবাজার, ফালাকাটা, কালচিনি, মাদারিহাট, কুমারগ্রাম থেকে শুরু হচ্ছে এই রাজনৈতিক কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: মমতার ‘প্রিয়’ নেতার খুনে বিরাট পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার ২! অভিযুক্তদের পরিচয় চমকে দিচ্ছে সকলকে
advertisement
এর পাশাপাশি মাটিগাড়া নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া-খড়িবাড়ির ৭৮ বুথেও শুরু হচ্ছে এই রাজনৈতিক কর্মসূচী। ২০১৯ সালে এই ৪৮৩ বুথের মধ্যে মাত্র ১৫ বুথ জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও ২০২৪ সালে এই বুথের ২৪৪ বুথ জিতে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল চাইছে এই বুথ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে। আর সেই কারণেই বুথ জয়ে তৃণমূলের তরফে বুথ ধরে ধরে এগনোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুখেই যত বড় কথা, ভারত চাইলে বাংলাদেশের কী করতে পারে! স্পষ্ট সেনাপ্রধানের মন্তব্যেই
এই বুথকে আবার কার্যত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে – ভাল বুথ, লড়াইয়ের বুথ, খারাপ বুথ। কিন্তু ভাল বুথ মানেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখানো যাবে না। আর খারাপ বুথ মানেই বিশ্বাস হারানো চলবে না। যে যে বিষয়ের উপরে শাসকদল জোর দিচ্ছে– ১) স্বাস্থ্য ক্ষেত্র বাগান পিছু উন্নত করা। ২) ক্রেশের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে বাগানের পিএফ ও গ্র্যাচুয়িটি যথাযথ দেওয়া।
তৃণমূল কংগ্রেস লক্ষ্য– বাগানের ঘরে ঘরে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে গেছে কিনা তার বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া। বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের রেশন রাজ্য দিচ্ছে তা প্রচারে আনা। চা শ্রমিকদের বাড়ির ব্যবস্থার ঢালাও প্রচার। চা বাগানের পাট্টা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উদ্যোগে তা নিয়ে বোঝানো। চা বাগানজুড়ে ধারাবাহিক লাইন মিটিং ও মিছিল করা। কেন্দ্রের উদাসিনতায় মিলছে না পিএফ, গ্র্যাচুয়িটি তার জোরদার প্রচার। শীঘ্রই পিএফ অফিস ঘেরাওয়ের ডাক। লেবার কোর্ট কেন্দ্র চালু করলে কাজের সময় আট ঘণ্টার বদলে হবে বারো ঘণ্টা। এর সমস্যা প্রচার। সূত্রের খবর চলতি মাসেই চা বাগানের সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক উদ্যোগে তুলে দেওয়া হবে পরিষেবা।
আবীর ঘোষাল