পুলিশ জানিয়েছে, পাশাপাশি বাড়ি জাহাঙ্গীর ও সৎ-দাদা মতিউর রহমানের। শরিকি রাস্তা এবং সীমানা প্রাচীর ঘিরে দুই পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। এ দিন ওই রাস্তা দিয়ে জাহাঙ্গীর ইট নিয়ে বাড়ির পিছন দিকে যেতে চাইলে গন্ডগোল বেঁধে যায় দুই পরিবারের মধ্যে। ওই সময় জাহাঙ্গীরকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে সৎ দাদা মতিউর পলাতক।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আসনে বসে ভাষণ দিচ্ছেন', নেতৃত্বকে তীব্র কটাক্ষ সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত ব্যক্তির স্ত্রী খাইরুন বিবি জানান, দুই বাড়ির মাঝখানে একটি রাস্তা আছে। সামনে মেয়ের বিয়ে। বাড়ির সামনে ইঁট বোঝাই করে রাখা ছিল। স্বামী ওই ইট দুই বাড়ির মাঝখানে রাস্তা দিয়ে বাড়ির পিছন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে। কিন্তু, ওই রাস্তার মধ্যে স্বামীর সৎ দাদার পরিবার একটি খুঁটি পুঁতে রেখেছিল। স্বামী ওদের জানান, খুঁটি উঠিয়ে নিয়ে বাড়ির পেছনদিকে ইট পৌঁছে দিয়ে আবার খুঁটি আগের মতোই পুঁতে দেবেন। কিন্তু এই কথা বলতে যেতেই স্বামীর সৎ দাদা মতিউর এবং তার ছেলে সাফাতুল্লাহ দু'জনে মিলে ছড়াও হন। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় জাহাঙ্গীরকে। এরপরে শ্বাসরোধ করে খুন করে। স্বামীর খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে আর 'ফেস' নয়, রাজ্য সম্মেলনে জানাল সিপিআইএম
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উজির হোসেন জানান, ওই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। শেষপর্যন্ত এই নৃশংস খুনের ঘটনা হয়েছে। গ্রামের সকলেই চান ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সেবক দেবশর্মা