অনেকেই বলছেন, এত টাকা খরচ করে বেড়াতে এসে কিছুই দেখা হল না। বন্ধ চিড়িয়াখানার সামনের দোকানগুলিও। যেন লকডাউনের সেই পুরনো ছবি। খাঁ খাঁ করছে চারপাশ। হোটেল ব্যবসায়ীরাও বলছেন, প্রচুর বুকিং বাতিল করা হচ্ছে। প্রতিদিনই ফোন আসছে পর্যটকদের। বিমান চলাচলেও বিধিনিষেধ জারি করায় অন্য রাজ্য থেকেও পর্যটকেরা মুখ ফেরাচ্ছেন। আর এতে ভরা পর্যটন মরসুমে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে পাহাড়। আর তাই মন খারাপ শৈলশহরের। কারণ এবার ভিড় বাড়ছিল পাহাড়ে। টিকার দুই ডোজ নিয়ে পাহাড় বেড়াতে এসেছিলেন পর্যটকেরা। বছর শেষে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বুকিং ছিল বেশ ভালোই। শুধু হোটেলই নয়, হোম স্টেগুলোতেও ঠাসা বুকিং ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রাতে এল খবর, এবার সানাকে নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়!
এদিকে পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে নয়া প্রস্তাব নিয়ে আসরে ইস্টার্ন হিমালয়া ট্র্যাভেল এণ্ড ট্যুর অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। শিল্পকে বাঁচাতে, ট্যুর অপারেটার থেকে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের কথা মাথায় রেখে তাদের প্রস্তাব, ৫০ শতাংশ পর্যটক নিয়ে খোলা হোক পর্যটনকেন্দ্রগুলি। কারণ শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বার খোলা থাকছে ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে। তাহলে পর্যটনকেন্দ্র নয় কেন! কেননা, দার্জিলিং, কালিম্পং বা ডুয়ার্স তো আর বন্ধ হয়নি। বন্ধ করা হয়েছে ট্যুরিস্ট স্পটগুলো। তাহলে পর্যটকেরা এখানে বেড়াতে এসে কী করবে?
আরও পড়ুন: ভয়ানক, মাছের বদলে জ্যান্ত এ কী তুলে আনলেন মৎস্যজীবীরা! তোলপাড় দিঘা
সংগঠনের সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ বলেন, এই দাবী জানিয়ে ৫ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আর্জি জানানো হবে। মঙ্গলবার তারা শিলিগুড়িতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশেও প্রতীকী অবস্থানে বসেন। তাদের স্লোগান, "পর্যটন বাঁচাও, আমাদের পরিবার বাঁচাও" এবং "৫০ শতাংশ পর্যটক নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র খোলা হোক"।