আজ অর্থাৎ শুক্রবার অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং জেলায়। এই তিন জেলার কয়েক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং এবং কোচবিহার জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্য তিন জেলা- মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: গরম থেকে অবশেষে স্বস্তির খবর, বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে, দিনক্ষণ জানাল হাওয়া অফিস
শনিবারও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে। শনিবারের মতোই আবহাওয়ার পরিস্থিতি বজায় থাকবে রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে তিস্তার জলস্তর। সমতলে মুষল ধারায় বৃষ্টির সঙ্গে সকাল ১০টায় তিস্তার বাঁধ থেকে ১৭৬৩.৪২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, ফলে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা নদীর। বিপদের আশঙ্কায় জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বসিয়েছে পুলিশ। নদীতে নেমে কাঠ সংগ্রহ বন্ধ করতে নিশেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় এবং সমতলের জঙ্গল থেকে প্রচুর পরিমান কাঠ তিস্তা নদীতে ভেসে আসে। সেই কাঠ সংগ্রহ করতে নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন তিস্তার পারের বাসিন্দারা। বিপজ্জনক এই প্রবনতা বন্ধ করতেই নজরদারি বসাল পুলিশ। সেই সঙ্গে তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধির দিকে ক্রমাগত নজর রাখছে প্রশাসন, আপাতত বাংলা-সিকিম লাইফলাইন ১০ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে পর্যটক এবং যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করছে।