তবে প্রেম বা স্ত্রী হারানো পরাজিত একজনের বদলে ভালোবাসার চির চেনা ফর্মুলায় অন্যের খুশিতে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যুবক বলেন, ”যাকে ঘিরে প্রেম থেকে দাম্পত্য সে নিজেই যখন থাকতে চাইছে তখন সমস্যা বাড়িয়ে কী হবে। আমি চিরকাল ওকে ভাল রাখতে চেয়েছি। যদি সেটা এভাবে হয়, তাহলে সেটাই না হয় হোক।”
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের এই সবজি দেখেও খান না? রক্তস্বল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য আর জীবনে কাছে ঘেষবে না খেলে!
এই লভ ট্রায়াঙ্গেলের তিন চরিত্রই ধূপগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন বারোঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের ভেমটিয়া এলাকায় বাসিন্দা। গল্পের শুরুটা অবশ্য বছর পাঁচেক আগে। শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাতাসি এলাকার যুবতীর সঙ্গে বছর দুয়েকের প্রেমের সুবাদে পালিয়ে বিয়ে সংসার পাতেন পেশায় টোটোর মেকানিক ভেমটিয়ার যুবক। তিন চাকার ব্যাটারিচালিত যানের ছোট বড় সব সমস্যা যার নখদর্পণে, সেই তিনিও ঘুণাক্ষরেও টের পাননি একদা প্রেমিকা তথা ঘরণীর মনের গ্যাঁড়াকল।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র শীতকালেই পাওয়া যায় এই শাক, স্বাস্থ্যের জন্যও যা উপকারী, জানলে প্রতিদিন খাবেন
এই ফাঁকে বছর খানেক যাবত সেই মনে পাকাপাকি ভাবে বাসা বেঁধেছিল এলাকারই আরেক যুবক। ছোটখাটো ব্যবসা করার ফাঁকে তরুণী বধূর সঙ্গে জমে উঠেছিল তার প্রেম। মেলামেশা গভীরতর হলেও এতদিন টের পাননি কেউই। গোল বাঁধে ঘন কুয়াশার আড়ালে গভীর রাতে অভিসারে আসা প্রেমিককে বধূর পরিবারের লোকেরা দেখে ফেলায়। জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে মন দেওয়া নেওয়ার পুরো ঘটনাই। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বধূর বাপের বাড়ির লোকেরাও। যুবক স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দেন টানা সাত বছরের সম্পর্কেই থাকতে চান তিনি। তবে বেঁকে বসেন বধূ।
দাম্পত্য এবং প্রেমের টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর ইছেতেই মত দেন যুবক। দুই পরিবার এবং এলাকার মাতব্বরদের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে স্ত্রীকে প্রেমিক যুবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কাছাকাছি একটি মন্দিরে বিয়ে করে নতুন সংসারযাত্রা শুরু করেন দুজনে। মেয়ের সিদ্ধান্তে সায় নেই বলেই জোড়াল দাবি করেছেন বধূর বাবা মা। সংসারে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধা নিয়ে বধূ বলেন, ”হঠাৎ করে কিছু হয়নি। এক বছর ধরে আমরা দুজন একে অপরকে ভালোবাসি। মন যখন আমার, তখন সিদ্ধান্তও আমারই হওয়া উচিৎ। সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাইলেও ওরা সেটা মানেনি।”
প্রেমিকার সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে নতুন সংসার পাতা প্রেমিক যুবককের বক্তব্য, ”বছর খানেকের সম্পর্ক হলেও মাস আটেক যাবত মেলামেশা গভীরতর হয়েছে। ওকে এ নিয়ে কয়েকবার বুঝিয়েছি, তবে শেষ পর্যন্ত ও যেটা চাইছে সেটা মেনে আমিও ওর সঙ্গেই সংসার করতে চাই। এই কারণে সকলে লিখিত চুক্তির কথা বলায় আমিও রাজি হই। আমরা দুজনই দুজনকে ভালো রাখব।”