#মালদহ: এ বার আগাম বর্ষা নেমেছে মালদহে। অতিভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরের সমস্ত নদী গুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। জলস্তর বেড়েছে মহানন্দারও। এতেই মহানন্দার নদী বাঁধে ফাটল। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
যেকোনও সময় গ্রামের পাকা বাড়ি, জমিজমা গ্রাস করতে পারে মহানন্দা। মালদহের চাঁচলের মহানন্দা নদী লাগোয়া গালিমপুর, যদুপুর, ভবানীপুর, শ্রীপতিপুর এলাকার বহু মানুষ আতঙ্কের প্রহর গুনছেন। বাঁধের অবস্থা দুর্বল। আস্তে আস্তে ধসতে শুরু করেছে বোল্ডার। ইতিমধ্যে অল্পবিস্তর শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। আর তাতেই ঘুম উড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারীদের। গ্রামবাসীর অভিযোগ, ২০১২ সালে বড় বড় পাথর দিয়ে নদীর ভাঙ্গন রোধে তৈরি করা হয়েছিল বোল্ডার। এতে সাময়িক সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু, এরপর প্রায় একদশক কেটে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেই। ফলে বোল্ডার ভাঙতে শুরু করেছে।
advertisement
প্রতিবছর বর্ষার সময় ২০১৭ সালের ভয়াবহ স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দেয় গ্রামবাসীদের। সেই সময়েও গ্রামছাড়া হয়েছিল গোটা গালিমপুর। মহানন্দার লাগাতার জলস্তর বৃদ্ধির ফলে সে বছর গালিমপুর, যদুপুর, শ্রীপতিপুর, ভবানীপুর বিস্তীর্ণ গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সেই স্মৃতি আজও তাজা গ্রামবাসীদের মনে। গ্রামবাসীদের দাবি, সময় থাকতে থাকতে বাঁধ মেরামত করা হোক। বোল্ডারের কাজ শুরু করা হোক। না হলে বহুগ্রাম প্লাবিত হবে। জলের তলায় ভেসে যাবে বহু ফসল।
ইতিমধ্যেই নদীর ধারে গালিমপুরে প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার আতঙ্কিত। তাঁরা বিমর্ষ হয়ে বলছেন, বাঁধ ধসে পড়লে নদী বাড়িও গিলে খাবে। অনেকেই ভিন রাজ্যে কাজ করে কোনও রকমে বাড়ি তৈরি করেছেন । এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই মহানন্দা গ্রাস করলে কার্যতঃ উদ্বাস্তু হতে হবে। মালদহের চাঁচলে নদীবাঁধে ভাঙনের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। সমস্যার কথা জেলায় মন্ত্রী সেচ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবিনা ইয়াসমিনের নজরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এলাকার নদী বাঁধের সমস্যা ঠেকাতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বিধায়ক।