সূত্রের খবর, স্থানীয় গ্রামবাসীরা আহত ব্যক্তিকে জঙ্গলের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর চাউর হতে গ্রামবাসীরা ভিড় জমান ঘটনাস্থলে । চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় (villager attacked by bison)। এরপর গ্রামবাসীরাই টোটোতে করে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সেখান থেকে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : বছর শেষের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার নয়া ডেস্টিনেশন হতেই পারে শান্ত, নির্জনতায় মোড়া পাহাড়ি গ্রাম মুনথুম
স্থানীয় এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই বন্যপ্রাণী এবং মানুষের সংঘাত বেড়ে যাওয়া রীতিমতো আতংকিত সাধারণ মানুষ, ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরাও।বাইসনের হামলায় আহত ব্যক্তির ছেলে শুভেন্দু রায় জানান, ‘‘বাবা চাবাগানে গিয়েছিলেন৷ কী হয়েছে সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না। ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখান থেকে রেফার করা হয়েছে। তাই শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাবার শরীরে পিঠের দিকে গভীর ক্ষত রয়েছে।’’
আরও পড়ুন : নাছোড়বান্দা বৃষ্টি? উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ঝড়জলের সতর্কতা আবহাওয়া দফতরের...
আহত ব্যক্তির পিতা কামিনী রায় জানান, ‘‘আমার ছেলে জঙ্গলের পাশে গরু আনতে গিয়েছিল। সেখানে বাইসন তার উপর হামলা করে। আহত অবস্থায় সে জঙ্গলের পাশে পড়েছিল। স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে।’’
ঘটনা প্রসঙ্গে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায় জানান, ‘‘বাইসনের হামলার কোনও খবর এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে পৌঁছয়নি। জঙ্গলে ভিতরে হামলা হলে সাধারণ মানুষ জানাতে চান না। কারণ জঙ্গলে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার পরও একশ্রেণির মানুষ সে সমস্ত নির্দেশ অমান্য করে জঙ্গলে ভিতরে ঢোকে। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। আমরা মানুষকে বলব সচেতন হতে, সতর্ক হতে। এ ভাবে যাতে জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ না করেন তাঁরা।’’
(প্রতিবেদন-রকি চৌধুরী)