ব্যবসায়ীদের দাবী, লকডাউনের সময়ে মল বন্ধ ছিল। সেইসময় দোকান ভাড়া বাবদ ৫০ শতাংশ টাকা নিয়েছে মল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মেইন্টেনেন্স বাবদ পুর টাকাই নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাকার অঙ্কে যা স্টোর পিছু ৫০ হাজারের কম নয়। ব্যবসায়ীদের দাবী, ব্যবসা নেই। কর্মীদের বেতন দিতে হয়েছে। তারপর কেন মেইন্টেনেন্সের টাকা দিতে হবে? আর আজ থেকে মল খুললেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে। তাই ব্যবসায়ীরা জানায়, যা ব্যবসা হবে। তার ৮ থেকে ১০ শতাংশ টাকা স্টোর ভাড়া বাবদ দেওয়া হবে। কিন্তু মল কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। এনিয়ে আজ সকালে মল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হলেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। আর তাই সেবক রোডের এই মলে মাত্র পাঁচটি স্টোর খুলেছে। ৫৫-র বেশী স্টোর ছিল বন্ধ। আপাতত তারা তা খুলবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী প্রেম আগরওয়াল, সুজিত সিংরা। এনিয়ে অবশ্য মল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও ঝামেলায় যেতে নারাজ তারা। তাদের স্পষ্ট দাবী, সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করেই মল কর্তৃপক্ষের তা মানা উচিৎ। নইলে স্টোর খোলা হবে না। ব্যবসায় লাভ না হলে কেন খোলা হবে স্টোর? যা ক্রেতার আনাগোনা তাতে স্টোর ভাড়া, মেইন্টেনেন্স, কর্মীদের বেতন টানা অসম্ভব।
advertisement
শহরের অন্য শপিং মলগুলোতেও ছিল একই ছবি। ক্রেতার দেখা নেই। কার্যত মাথায় হাত মলের স্টোর মালিকদের। তবে প্রতিটি মলেই কর্তৃপক্ষ কোভিড প্রোটোকল মানার নির্দেশিকা জারি করেছে। পারস্পরিক দূরত্বের জন্যে গণ্ডি আঁকা হয়েছে। ক্রেতাদের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রয়েছে। মলে ঢোকার মুখে হাত স্যানিটাইজড করা হচ্ছে। তারপরও দেখা নেই ক্রেতাদের। সংখ্যায় খুব কম ক্রেতাকে দেখা গিয়েছে আজ শিলিগুড়ির মলগুলোতে। আজ দার্জিলিংয়েও খুলেছে শপিং মল। তুলনায় ভিড় ছিল কম। রেঁস্তোরাও ছবি বদলায়নি প্রথম দিনে। ভিড় কম।
Partha Pratim Sarkar