ইতিমধ্যে বালাসিপাড়ার দুই মহিলাকেও তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ। হোমগার্ডে কর্মরত ওই পুলিশকর্মীর নাম নিখিল রায়। তার বাড়ি শালকুমারহাটেই৷ দশ বছর আগে বালাসিপাড়ার এক যুবতীকে বিয়ে করেন। তখন থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। আগে কখনও তাঁর মানসিক সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন কী করে এই সমস্যা হল, তা পরিবারের লোকেরাও বুঝতে পারছেন না।
advertisement
আরও পড়ুন : শীতে ‘সস্তার’ ফুলকপি এবছর কাঁদিয়ে ছাড়বে না তো? কৃষকদের সঙ্গে যা হয়েছে, পাতে তুলতে পকেট খালি হবে
এদিন সকালে প্রতিবেশী জন্তনা বর্মনের বাড়িতে চড়াও হন নিখিল। সেখানে বাড়ির কালী মন্দিরে ঢুকে পড়েন। সেখান থেকে বের করার জন্য এগিয়ে যান জন্তনার ছেলে বিনয় বর্মন। তখন মন্দিরে থাকা ফল কাটার ছুড়ি দিয়ে বিনয়কে সে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ৷ বিনয়ের হাতে চোট লাগে। বিনয় বলেন, প্রথমে আমাদের বাড়িতে এসে ভালভাবেই কথা বলছিল। হঠাৎ মন্দিরে ঢুকে পড়ে। তারপর আমি সেখান থেকে বের করতে গেলে ছুড়ি দিয়ে আক্রমণ করে।’
আরও পড়ুন : বরুণদেবের অপার কৃপায় মুখ ফিরিয়েছে লক্ষ্মী! ধনদেবীর অপেক্ষা রাস্তার পাশে, আদর করে ঘরে তোলার ভিড় নেই
তবে পরে বাড়ির অন্যরা মিলে মন্দিরের তালা লাগিয়ে দেন৷ জড়ো হন প্রতিবেশীরাও। আসেন পূর্ব কাঁঠালবাড়ির উপপ্রধান কমলেশ্বর বর্মন৷ তিনি বলেন,’হঠাৎ করে এরকম আচরণ শুরু হয়। ওঁর মানসিক সমস্যা হয়েছে। তাই বড় বিপদ যাতে না ঘটে, সেজন্য পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’ পরে সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ এসে নিখিলকে উদ্বার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে,কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। পরে পরিবারের লোকজনদের মাধ্যমে ওকে তুফানগঞ্জ মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।