স্থায়ী সমাধানসূত্র খুঁজতে চলবে আলোচনা ৷ এদিন বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘চাই যে দ্রুত বনধ উঠে শান্তি ফিরুক পাহাড়ে ৷’
নবান্নের পর উত্তরকন্যা বৈঠক। জট খুলে গেল অনেকটাই। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়েই পাহাড় সচল করতে একমত হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সহ পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলো।
বৈঠকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তোলা ১৭ দফা দাবির অধিকাংশ মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জট কেটে যায় অনেকটাই। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, চা বাগানে কর্মীদের ক্ষতিপূরণ ও বোনাস, পাহাড়ে লাগাতার বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। পাহাড়ে সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের ক্ষতিরপূরণের দাবিও মেনে নিয়েছে রাজ্য। একাধিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
advertisement
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, পাহাড়ের সরকারি কর্মীরা ১৫ তারিখের মধ্যে কাজে যোগ দিলে একমাসের বেতন পাবেন। বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলার উপর জোর দেন তিনি ৷ পড়ুয়াদের এতদিন পড়া বন্ধ থাকার ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে শীতের ছুটিতে শিক্ষকদের পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এমনকী, ছুটিতে পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি তুললেও রাজ্য সরকারের যুক্তি মেনে নেয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বৈঠকে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যায় বিনয় তামাংকেই। পাহাড়ের নতুন নেতা এখন যে বিনয়ই, উত্তরকন্যা্ বৈঠকে আবারও তা প্রমাণিত। এখন দেখার কত দ্রুত পাহাড় ফেরে পুরোপুরি স্বাভাবিক ছন্দে।