আজ তিনি বলেন, বৃহত্তর ত্রিপুরা গড়ার দাবি নস্যাৎ করেছে অসম এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। অথচ সেই দলেরই উত্তরবঙ্গের সাংসদ, বিধায়কেরা আলাদা রাজ্যের দাবি তুলছেন। একই দলের দুই নীতি কেন? ত্রিপুরার ক্ষেত্রে এক, বাংলার ক্ষেত্রে অন্য কেন? প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। অথচ দলের রাজ্য নেতৃত্ব পৃথক রাজ্য নিয়ে অন্য সুরে কথা বলছেন। তাহলে যারা আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী মন্তব্য করার জন্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, উল্টে উপহারস্বরূপ দুই সাংসদ জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর সুরেই এদিন উত্তরের অন্য সাত জেলার জেলা সভাপতি ও সভানেত্রীরা একই দাবি তুলেছেন। উদয়ন গুহ আরও জানান, 'রক্ত ঝরলেও বাংলা ভাগ রুখব আমরা। এতে উত্তরের লোকসভা আসনের ৮টি হারালেও বাংলা ভাগ হতে দেবো না।'
advertisement
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, নবদম্পতির ছবি প্রকাশ্যে, কিয়ারার গালে চুম্বন আঁকলেন সিদ্ধার্থ
'ভোট বড় কথা নয়। বাংলাকে অটুট রাখাই আমাদের লক্ষ্য।' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন, 'দলের সর্বস্তরের নেতাদের গলাতেও একই সুর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিকেরা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন,' দাবি মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: মিস্টার ও মিসেস মালহোত্রাকে শুভেচ্ছা বলিপাড়ার, সিড-কিয়ারার বিয়ের ছবিতে প্রেমের তুফান
এদিন তিনি এও দাবি করেন, 'রাজ্যে আরও কমবে বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা। অন্তত ১২জন বিধায়ক নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এখন সময়ের অপেক্ষা। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে, আরও যোগ দেবে। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ওই বিধায়কেরা যোগাযোগ রাখছেন। ওই তালিকায় উত্তরেরও কয়েকজন রয়েছেন।'