এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "মাঠে বসে পরীক্ষা দিতে হয় এমন কোনও খবর আমার জানা নেই। কোনও গণমাধ্যমও কোনওদিন এমন কোনও তথ্য তুলে ধরেনি। তবে মাননীয় বিধায়ক যখন বলছেন তখন বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।" একই সঙ্গে বিধায়কের প্রস্তাবটাও বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি। এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একাধিক বিধায়ক অভিযোগ করেন যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বহু ছাত্রছাত্রীকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দিতে অসহযোগিতা করছে। ছাত্রছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর, তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থার অজুহাতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাশ করছে ব্যাঙ্কগুলি। সময় মতো টাকা না পেয়ে অনেক ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। অনেকে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'রেড ভলেন্টিয়ার' নাম সামনে আনতে কর্মসূচি নিচ্ছে সিপিআইএম
উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান এরকম হওয়ার কথা নয়। মুখ্য সচিব, অর্থ সচিব ও শিক্ষা সচিবের কমিটি বিষয়টা দেখে থাকেন। আর এই ঋণের গ্যারান্টার রাজ্য সরকার। সেখানে এরকম হওয়ার কথা নয়। ভবিষ্যতে এ রকম কোনও ঘটনা ঘটলে টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০১০২৮০১৪ তে ফোন করে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবে। অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করা হবে। তিনি বলেন, "স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। এখান থেকে ঋণ নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা লাভের পথে হাঁটতে পারবে। রাজ্যের মধ্যে, রাজ্যের বাইরে, এমনকী প্রয়োজনে দেশের বাইরে যেতে পারবে শিক্ষা গ্রহনের জন্য। পড়াশোনার জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কিনতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষামূলক ভ্রমণ করতে পারবে তাঁরা। সহজ কিস্তিতে মাত্র বার্ষিক চার শতাংশ সুদে ঋণ শোধ করতে পারবে। তার আগে শোধ করতে চাইলে এক শতাংশ ছাড় পাবে।"
UJJAL ROY