একা সুভাষ বাবু নন, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় (North Bengal Train Accident) প্রাণ হারিয়েছেন কোচবিহারের আরও এক বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ বর্মন (২৩)৷
কোচবিহারর কোতোয়ালি থানার ফলিমারি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ রায়৷ প্রায় ১৫ বছর থেকে জয়পুরে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি৷ তিন মাস আগে মেয়ের বাবা হন সুভাষ বাবু৷ কিন্তু কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় সুভাষবাবু সেই সময় বাড়ি ফিরতে পারেননি৷ তিন মাসের সেই মেয়ে সুপ্রিয়াকে দেখার জন্যই এবার ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুভাষবাবু৷
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রাকশন মোটরস খুলে যায়, ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনায় যে মারাত্মক কারণ উঠে আসছে...
জয়পুর থেকে বিকানের এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন সুভাষ রায়৷ কিষানগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে দাদাকে ফোনও করেছিলেন তিনি৷ মেয়েকে কোলে নেওয়ার জন্য যে তাঁর আর তর সইছে না, সেকথাও জানিয়েছিলেন দাদাকে৷ সন্ধে সাতটায় নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামার কথা ছিল সুভাষ বাবুর৷ কিন্তু বিকেল পাঁচটা নাগাদ দোমহনীর দুর্ঘটনা এক মুহূর্তে সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিল৷
বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বেগে ছিল সুভাষ বাবুর পরিবার৷ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সুভাষবাবুর পরিবারের সদস্যরা৷ এর পর রাতেই সুভাষ বাবুর পরিবারের কাছে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পৌঁছয়৷ সুভাষ বাবুর মৃত্যু সংবাদে গোটা ফলিমারি গ্রামেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ তিন মাসের মেয়ের সঙ্গে যে সুভাষ বাবুর দেখা হল না, তা ভাবতেও পারছেন না পরিবারের সদস্যরা৷
আরও পড়ুন: 'ট্রেন কি নিজে নিজে বেলাইন হয়!' বিস্ফোরক ইঙ্গিত রূপার, চাইলেন সিবিআই তদন্ত
সুভাষ বাবু ছাড়াও ওই ট্রেনেই বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এলাকারই চান্দামারির বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ বর্মন৷ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁরও৷ চিরঞ্জিতও ভিন রাজ্যে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে৷ ট্রেনে ওঠার পর শেষ বার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর৷ কিন্তু সুভাষ বাবুর মতো বাড়ি ফেরা হল না চিরঞ্জিতেরও৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালেইময়নাতদন্ত করার পর সুভাষ রায় এবং চিরঞ্জিৎ বর্মনের দেহ কোচবিহারে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে৷