৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালীপুজো কমিটি লাইনস ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুদেব স্মৃতি সংঘের সদস্যরা দলবল নিয়ে বাঁশ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে মন্দিরের উপর আঘাত করে ভাঙচুর করতে থাকে। ভেঙে দেওয়া হয় ক্লাবের দরজা, ফেলে দেওয়া হয় মণ্ডপের সাউন্ডবক্স। ঘটনার সময় লাইনস ক্লাবের কোনও সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। সকলেই বিসর্জনে গিয়েছিলেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে ক্লাবের সদস্যরা তাঁদের মন্দিরের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
advertisement
লাইনস ক্লাবের সম্পাদক বিবেক ওবেরয় অভিযোগ করেন, এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটানো পুজো কমিটি এর আগেও মণ্ডপে তাণ্ডব চালিয়েছিল। ভাবতে অবাক লাগে, সনাতনী ধর্মের মানুষ হয়ে তাঁরা কীভাবে মন্দিরের উপর এমন ভাঙচুর চালায়। এলাকাকে উত্তপ্ত করার উদ্দেশেই এই ধরনের কুচক্র কাজ করছে। পুলিশের প্রতি ভরসা আছে। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
অন্যদিকে সুদেব স্মৃতি সংঘের সদস্যরা লাইনস ক্লাবের সদস্যদের তোলা অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, তাঁরা তাঁদের ক্লাবের পাশ দিয়ে বিসর্জন করে আসার পথে রোড ক্রসিংয়ের সময় লাইনস ক্লাবের ওখানে দাঁড়ান। সেই সময় হঠাৎ তাঁদের বন্ধ থাকা সাউন্ডবক্স ফুল ভলিউমে বাজাতে শুরু করে। তখন প্রশ্ন করা হয়, এত জোরে কেন বাজানো হচ্ছে? এই নিয়েই দু-একটি কথা কাটাকাটি হয়। তবে মন্দিরে কোনও ধরনের ভাঙচুর, হামলা বা আক্রমণ হয়নি। এলাকায় প্রশাসনিকভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ তদন্ত করুক। এদিকে এই ঘটনা ঘিরে রাত থেকে পালপাড়া, জামতলা প্রভৃতি এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। চলছে পুলিশি টহল।
