পড়তে থাকুন : ধৃত নকল বাস কন্ডাক্টর এলাকায় চাঞ্চল্য
মালদহের হবিবপুর ব্লকের ধুমপুর গ্রাম। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই হতদরিদ্র। ছোটবেলা থেকেই গ্রামের দুই বাসিন্দা অজয় সাহা ও রঞ্জিত সরকার জটিল রোগে আক্রান্ত। অজয়ের বাবা পেশায় দিনমজুর। অন্যদিকে, রঞ্জিতের মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। নুন আনতে পান্তা ফুরোন এই দুই পরিবারের কাছে সন্তানদের চিকিৎসার কথা ভাবা ছিল দূর অস্ত। বৃহস্পতিবার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যান জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ও পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ। সেখানে দুই কিশোরের শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসার আশ্বাস দেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন : অল্পেই খুশি, ওরা কাজ করে আনন্দে
ছোটবেলা থেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া অজয়। অন্যদিকে, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া রঞ্জিত সোজা করতে পারে না ঘাড়। শারীরিক সমস্যার জেরে স্কুলে যাওয়াও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের তৎপরতায় শনিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা শুরু হল অজয় ও রঞ্জিতের।
বিস্তারিত পড়ুন : ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘিরে উত্তপ্ত জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজ, অভিযুক্ত অধ্যাপক
জেলা প্রশাসনের কর্তাদের উদ্যোগে চিকিৎসা শুরু হওয়ায়, আশার আলো দেখছেন দুই কিশোরের অভিভাবকরা। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, দিন সাতেকের মধ্যে দুই কিশোরের অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে বলে আশা চিকিৎসকদের। তারপরই স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে অজয়-রঞ্জিত।