বিশ্বায়নের যুগে ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি। পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ শিলিগুড়ি ইউনিক সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির। সংগঠনের সদস্যদের ভাবনাতেই তৈরি অভিনব এই রাখি।
রাখি বন্ধন উৎসব মানে ভাই ও বোনেদের বন্ধন! দেশজুড়েই সৌভ্রাতৃত্ব এবং সৌজন্যতার উৎসব। ভাই ও বোনেদের চিরন্তন বন্ধন ও সুরক্ষা প্রদানের উৎসব। রাখি এলেই বাজারে দেখা মেলে রকমারি উপাদানের তৈরী রঙিন রাখির বাহার। স্পঞ্জ, প্লাস্টিক, জড়ি, রাংতা সহ পরিবেশ দূষণের উপযোগী নানান উপকরণ দিয়ে তৈরি রাখি। যা দিন দিন পরিবেশের দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুন।
advertisement
আরও পড়ুন: নেই শিক্ষক! বিনা পারিশ্রমিকে সরকারি স্কুলে পড়াচ্ছেন গ্রামের এক বেকার যুবক!
শিলিগুড়ির মতো মেট্রোপলিটেন শহরেও ক্রমেই বাড়ছে দূষণের ঘনত্ব। পরিবেশকে বাঁচাতে প্রতি বছরই ঘটা করে পরিবেশ দিবসে নেওয়া হয় সচেতনতার শপথ। পরিবেশ দিবস কাটতে না কাটতেই আবারও সেই পুরনো অভ্যেসে ফিরে যাওয়া। যত্র তত্র নোংরা আবর্জনার পাহাড়, যেখানে প্লাস্টিক সহ অন্য সামগ্রী পড়ে থাকে।এবার শহরকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে উদ্যোগী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তারা। লক্ষ্য শহরবাসীকে সচেতন করে তোলা। সেই লক্ষ্যেই এবারে শিলিগুড়িতে দেখা মিলল গাছের চারা দিয়ে তৈরি প্রকৃতিকে রক্ষাকারী রাখি।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ালেন সংগঠনের সদস্য, সদস্যারা। হাতে অভিনব রাখি নিয়ে। বাঘাযতীন পার্ক দিয়ে অভিযান শুরু করে তারা। পথচলতি সাধারণ মানুষের থামিয়ে সংগঠনের বোন, দিদিরা পড়িয়ে দেন এই অভিনব রাখি। কিছুটা অবাকও হন অনেকেই। এ আবার কি ধরনের রাখি? নেই বাহারি রঙের বাহার, চাকচিক্য! সংগঠনের কর্তারা বোঝাতেই তারিফ করেন শহরবাসীও। এভাবেই যদি অন্যরাও এগিয়ে আসে, উদ্যোগী হয়, তাহলে বাঁচবে শহর, ফিরবে সবুজায়ন।