TRENDING:

বসানো হত নহবত, খাওয়ানো হত লোকজন! আজ জমিদার-জমিদারি নেই, তবুও অটুট মনোহলি জমিদারবাড়ির দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য

Last Updated:

Traditional Durga Puja: জমিদার-জমিদারি না থাকলেও মনোহলি জমিদারবাড়ির দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য আজও অটুট। জমিদারবাড়ি সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক প্রায় ২০০ বছর আগে পুজো শুরু হয়েছিল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর, সুস্মিতা গোস্বামীঃ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জমিদারবাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম তপন ব্লকের মনোহলি জমিদারবাড়ির পুজো। এই পুজো কত বছর আগে শুরু হয়েছিল সঠিক না জানা গেলেও, জমিদারবাড়ি সূত্রে খবর, আনুমানিক প্রায় ২০০ বছর আগে পুজো শুরু হয়।
advertisement

বর্তমানে জমিদার-জমিদারি কিছুই নেই। কিন্তু সেই আমল থেকে শুরু হওয়া দুর্গাপুজো আজও ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে ব্যানার্জি পরিবারের আগের সেই অবস্থা নেই বললেই চলে। কিন্তু তাই বলে কি এতদিনের পুজো বন্ধ হয়ে যাবে? বিগত প্রায় ১৬ বছর ধরে মনোহলি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে চাঁদা তুলে বারোয়ারি মতে এই পুজো করছেন। তবে বারোয়ারি মতে পুজো হলেও আজও সেই দুর্গাপুজো জমিদারবাড়ির পুজো বলেই খ্যাত।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বিসর্জনের সময় ভেঙেছিল দেবীর আঙুল! এরপরেই স্বপ্নাদেশ আসে..! চিনপাই মিত্রবাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস গায়ে কাঁটা দেয়

বর্ধমানের কাটোয়া অঞ্চলের সিংগী গ্রাম থেকে বর্ধমান মহারাজার নির্দেশে দিনাজপুরের মহারাজার এলাকায় এরিয়া ডেভেলপমেন্টের কাজে এসেছিলেন। তারাচাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই পরবর্তী সময়ে তপন ব্লকের মনোহলি অঞ্চলে এলাকা উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় ডাকাতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই মনোহলি এলাকায় ধীরে ধীরে ব্যানার্জি পরিবারের প্রভাব বাড়তে শুরু করে এবং বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে প্রভূত টাকার মালিক হয়ে ওঠেন এই পরিবারের সদস্যরা। এরপর ১৮৩০ সালে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে মনোহলি গ্রামে জমিদারি শুরু হয়।

advertisement

View More

জমিদার বংশের বর্তমান প্রজন্মের অমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “দুর্গাপুজোর এই পাঁচ দিন জমিদার পরিবারের নানা অনুষ্ঠান হত, বসানো হত নহবতখানা। এছাড়াও বিশেষ পুজো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজোর ক’দিন লোকজন খাওয়ানো হত।এখন গ্রামবাসীদের পক্ষে সেটা মেনে চলা সম্ভব নয়”।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত ডেলিভারি বয়রা এবার পেলেন মধুর ভাইফোঁটার স্পেশাল আনন্দ
আরও দেখুন

মনোহলি জমিদার পরিবারের রাজবাড়ির সেই জাঁকজমক আর নেই। চন্ডীমণ্ডপ থাকলেও সেখানে আর পুজো আরাধনা হয় না বললেই চলে। তবে গ্রামীণ পরিবারের সদস্যরা বছরের অন্যান্য সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও পুজোর এই পাঁচটি দিন তাঁরা একত্রিত হন। এই পাঁচ দিন পরিবারের সদস্যরা মিলন উৎসবে মেতে ওঠেন। বারোয়ারি মতে পুজো হলেও আজও সেই দুর্গাপুজো জমিদারবাড়ির পুজো বলেই পরিচিত।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
বসানো হত নহবত, খাওয়ানো হত লোকজন! আজ জমিদার-জমিদারি নেই, তবুও অটুট মনোহলি জমিদারবাড়ির দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল