এই পরিস্থিতিতে চালক সংগঠনের ডাকে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে বেসরকারি ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে সরকারি ও বেসরকারি বাস চললেও তুলনায় তা কম ছিল। পর্যটকঠাসা পাহাড়ে বাস চলেছে অনেক ক্ষণ পর পর। এর জেরে বিপাকে পড়েছেন পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। চালকদের দাবিকে সমর্থন করলেও প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পর্যটকরা।
advertisement
আরও পড়ুন : হাঁস খেতে এসে জালবন্দি অজগর, চাঞ্চল্য মালবাজারে
সোমবার যেমন অনেক পর্যটকেরই ফেরবার টিকিট ছিল শিলিগুড়ি থেকে। তেমনই অনেকেই শিলিগুড়িতে নেমে পাহাড়ে পৌঁছন। দার্জিলিংয়ের মোটরস্ট্যান্ড থেকে এনজেপি স্টেশন--সর্বত্রই ছিল পর্যটকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা। দীপক চট্টোপাধ্যায় নামে এক পর্যটক বলেন, ‘‘আচমকা গাড়ি বন্ধে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। প্রশাসনের উচিত ছিল যথাযথ বাসের ব্যবস্থা রাখা।’’
আরও পড়ুন : লোকালয় থেকে উদ্ধার লুপ্তপ্রায় হিমালয়ান গ্রীফান
গোপালকৃষ্ণ সাহা নামে আর এক পর্যটকের অভিযোগ, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ে বাস মেলেনি। অনেককেই পাহাড় থেকে ভিড়ে ঠাসা বাসে উঠতে হয়েছে।’’ আবার সোমবারই সপরিবার এনজেপি পৌঁছন কলকাতার বাসিন্দা অরবিন্দ ঘোষ। ছোট গাড়ি না মেলায় বিপাকে পড়েন। ঘোরার ঠিকানা দার্জিলিংয়ের পরিবর্তে গ্যাংটককেই বেছে নেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : আগামীকাল দার্জিলিং যাচ্ছেন? আটকে যাবেন মাঝরাস্তায়, পাহাড় থেকে নামতেও একই সমস্যা
এদিকে বনধের সমর্থনে শিলিগুড়িতে মিছিল করেন চালক সংগঠনের সদস্যরা। হাতে ছিল ভাড়া বৃদ্ধির সমর্থনে প্ল্যাকার্ডও। শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ে বৈঠকেও বসেন তাঁরা। পরে মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন। আচমকা গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাহাড়ে দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা। তবে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম এবং কালিম্পং রুটে গাড়ি চলাচল ছিল স্বাভাবিক। চালক সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং মাথাপিছু গাড়ি ভাড়া ন্যূনতম ২৫০ টাকা করতে হবে।