#শিলিগুড়ি: তুষারপাতের অপেক্ষায় শৈলরানি। প্রহর গুনছেন পর্যটকেরাও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে চলতি সপ্তাহেই দার্জিলিঙে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এখন তারই অপেক্ষায়। আজও সকাল থেকে ঝলমলে আবহাওয়া। খুব কাছ থেকেই ধরা পড়ছে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। ঘুম ভাঙতেই ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়া। ক্যাভেন্টার্সে গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে সোজা ম্যাল। মিঠে কড়া রোদ গায়ে মাখিয়ে দেদার গল্পে মিশে থাকা। বেলা বাড়তেই ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে ঢুঁ মেরে আসা। লম্বা লাইন পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানায়।
advertisement
দিনভর রেড পাণ্ডা সহ অন্যান্য জীবজন্তুর সঙ্গে সেল্ফি তোলার হিড়িক। কেউ আবার বেড়িয়ে পড়েছেন কাছে পিঠে চা বাগানে। আবার কেউ হিমালয়ান মাউন্টেরিংয়ে। পাহাড়ে এসে রক ক্লাইম্বিং করবে না, এমনটা হতেই পারে না। উপচে পড়া ভিড় রোপওয়েতেও। রোপওয়েতে চেপে পাহাড় দেখার রোমাঞ্চটা যে অন্যরকম। দিনভর ইতিউতি ঘুরে লাঞ্চ সেরে সন্ধ্যেয় আবার ডেস্টিনেশন সেই ম্যাল। পাহাড়ী মোমো তা সে ফ্রাই হলেবতো কথাই নেই। চকবাজারে কেনাকাটা। নতুন বছরে নতুনের আশায় পর্যটকেরা ভিড় জমিয়েছেন পাহাড়ে। আবার অনেকেই দার্জিলিং স্টেশন থেকে ঘুম, বাতাসিয়া লুপ পর্যন্ত টয়ট্রেনে জয় রাইডে নিজেদের ব্যস্ত রাখলেন। কুয়াশার চাদর ঠেলে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে কু ঝিকঝিক করে পাহাড়ীয়া রেল লাইন ধরে এগিয়ে চলা।
আবার সাতসকালে টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখার ভিড়ও টেক্কা দিচ্ছে। কোথায় এন আর সি? আর কোথায় সি এ এ'র উত্তাপ? এসব থেকে অনেকটা দূরে ভ্রমনপিপাসুরা। পাহাড়ে এখন রাত কাটাবার জায়গা নেই। সব হোটেল, হোম স্টে, কটেজ পর্যটকে ঠাসা। বছরের শুরুতে শৈল শহরে এখন থিক থিক ভিড়। জমজমাট দার্জিলিং। এখন অপেক্ষা শুধু তুষারপাতের। গতবছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দার্জিলিং সাদা চাদড়ে মুড়ে গিয়েছিল। হাওয়া অফিসও বলেছে চলতি সপ্তাহেই তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা। পর্যটকেরা তো বটেই সমতলের শিলিগুড়ির বাসিন্দারাও প্রহর গুনতে শুরু করে দিয়েছে। খবর এলেই দে ছুট দার্জিলিং!