আরও পড়ুন- সই করে তার নীচে ‘দাগ’ দেন? জানেন, এই অভ্যাসের ‘গূঢ় অর্থ’ কী? বিশেষজ্ঞদের মতামত চমকে দেবে!
আরও পড়ুন- বলুন তো…কোন ফলে সবচেয়ে বেশি ‘প্রোটিন’ থাকে…? উত্তর আপনাকে চমকে দেবেই…! ‘গ্যারান্টি’
advertisement
পোকা লেগে যাচ্ছে সাধের ‘টম্যাটো’য়? রান্নাঘরের একটা জিনিস ছিটিয়ে দিলেই জব্দ রোগ!
এগ্রিকালচার বিভাগের সঙ্গে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে যুক্ত কৃষি বিশেষজ্ঞ রাধিকারঞ্জন দেবভূতি জানান ,
টমেটো গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকার উৎপাত দেখা যায়। সেগুলি হল-
টমেটোর ফল ফেটে যাওয়া : তাপমাত্রার দ্রত পরিবর্তন ও জলের ঘাটতির কারণে কখনও কখনও টমেটো ফেটে যায়। এতে টমেটো খাবারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
টমেটোর টোবাকো ক্যাটারপিলার:এই রোগে টমেটো গাছের পাতায় বিভিন্ন ধরনের পোকা র উৎপাত দেখা যায়। কয়েক দিনের মধ্যে এরা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় বড় ছিদ্র করে পাতা খেয়ে ফেলে
টমেটোর ব্যাক আই রোগ: এই রোগে মাটির কাছাকাছি থাকা ফলের নিচের দিকে প্রথমে পচা শুরু হয় এবং ক্রমশ তা উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
টমেটো গোড়া পচা রোগ: এই রোগের ফলে টমেটোর গাছে সমস্ত গোড়া পচে যায়। এই সমস্ত রোগ থেকে বাঁচতে টমেটোর গাছে অবশ্যই চুন ব্যবহার করুন । এছাড়া চাপানো সার হিসেবে ক্যান সার ব্যবহার করলে এবং দুই গ্রাম চুন প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
তাছাড়া টমেটোর বীজের মধ্যে অনেক সময় রোগ-জীবাণু লুকিয়ে থাকে। যেমন, আগাম ধ্বসা বা আর্লি ব্লাইট রোগ, মোজেইক ভাইরাস, ছত্রাকজনিত ঢলে পড়া ইত্যাদি রোগের জীবাণু বীজে থাকতে পারে। মাটিতে ফেলার পর জল পেয়ে সেসব রোগ-জীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে চারা মারা যায়। আবার অনেক সময় বীজতলার মাটিতেও কিছু রোগ-জীবাণু থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- বলুন তো, কোন প্রাণী ‘মুখ’ দিয়ে সন্তান প্রসব করে…? আশেপাশেই রয়েছে কিন্তু! চেনেন?
সেজন্য বীজতলার মাটিও শোধন করে নিলে ভাল হয়। গরম জলে ভিজিয়ে রাখলে বীজের গায়ে লেগে থাকা বা ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জীবাণু মরে যায়। এরপর ভিজে যাওয়া বীজ তুলে ছায়ায় শুকিয়ে বপন করতে হবে।
পিয়া গুপ্তা