এর মধ্যে বিরোধীদের বিশেষ করে বিজেপি-র ধর্মীয় মেরুকরণ ও কুৎসার রাজনীতিকে প্রতিহত করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের। পঞ্চায়েত প্রস্তুতিতে তাই ধর্মীয় মেরুকরণ নয়, উন্নয়নকে মাথায় রেখেই প্রচারে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে মালদহ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত এই ভাবেই প্রচারে ব্যস্ত থাকবে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায় এই চ্যালেঞ্জটাই নিয়েছেন বুথ নেতৃত্ব থেকে ব্লক নেতৃত্ব পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষাসচিবকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে ধর্মেন্দ্রকে চিঠি সৌমিত্রর
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি জোর করে বঙ্গভঙ্গ করতে চাইছে। উত্তরবঙ্গকে আলাদা করতে চাইছে। প্ল্যান বি হিসেবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা ভেবে রেখেছে তারা। এখানেই প্রতিবাদে গর্জে উঠতে দলের কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন নেতারা। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাতে বলছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ কিছুতেই বাংলা ভাগ হতে দেবেন না তাঁরা, এই সংকল্প নিয়েই পঞ্চায়েতের আগে মাঠে নামছেন তৃণমূল নেতত্ব।
আরও পড়ুন: 'যেভাবে আন্দোলন ভাঙা হয়েছে তা লজ্জার', হিটলারি শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা টেনে বিস্ফোরক শুভেন্দু
আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের এই বিষয়ে প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপি অনেকদিন থেকেই বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। না হলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দিকে তারা এগোবে। কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এটা কোনওদিনই হতে দেব না। ধর্মীয় মেরুকরণ করে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো যাবে না।”
সার্বিকভাবে দেখতে গেলে বিজেপি উত্তরবঙ্গের দিকেই বেশি টার্গেট করে থাকে ভোটের কারণে। ২০২৩- এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই উত্তরের ৮টি জেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে শিরোধার্য করে একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে ধর্মীয় বিভাজনকে রুখে দিতে মাঠে ময়দানে বক্তৃতা শুরু করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। জেলা জুড়ে বিজয়া সম্মিলনীর সভাগুলি ছাড়াও ছোট ছোট সভায় নিজেদের কথা তুলে ধরছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফল করলেও, উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায় ফল মনমতো হয়নি। তাই পঞ্চায়েতে উত্তর টার্গেট তৃণমূলের।