উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনে বিদ্রোহী আব্দুল করিম চৌধুরী পন্থী নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আর্জুনা বেগম। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসলামপুর হাইস্কুলে গণনাকেন্দ্রে জমায়েত হয়েছিল বিধায়ক হামিদুর রহমান সহ তার অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: তিহাড়ে থাকা অনুব্রত-ম্যাজিক নাকি কাজলের কেরামতি? বীরভূম একমাত্র তৃণমূলেরই
advertisement
জানা গিয়েছে, গণনাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় বিপুল পরিমাণ লোকজন থাকায় পুলিশ গণনা কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে হামিদুল রহমান সহ তার অনুগামীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা জোরপূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয় এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ‘আবারও প্রমাণ হল…’, রাত বাড়তেই মুখ খুললেন মমতা! পঞ্চায়েতে সবুজ ঝড়
পুলিশের মারে আহত হন খোদ বিধায়ক সহ তার বেশ কয়েকজন অনুগামী। তাদের তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিধায়ক সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। যদিও বিধায়ক হামিদুল রহমানের অভিযোগ, “ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিনা প্ররোচনায় তার অনুগামীদের উপরে চড়াও হয়। এবং লাঠিচার্জ করে।”
তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।