ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের নেমেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ-ও৷ গত মাসেই মালদহে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে৷ সেই ঘটনাতেও বিহারের দুষ্কৃতী দলের যোগ মিলেছিল৷ তার পরেই কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে হুমকির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
আরও পড়ুন: জামিন নিতে আদালতে গিয়ে গ্রেফতার পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর, গণপিটুনির মামলায় নির্দেশ আদালতের
advertisement
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ জানিয়েছেন, গতকাল তাঁর কাছে একটি মেসেজ আসে৷ যদিও সেই মেসেজ তিনি দেখেননি৷ এর পর এ দিন সকালে তাঁকে ফোন করে প্রদীপ নামে এক ব্যক্তি৷ নিজেকে ডি কোম্পানির সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে সে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে বলে, গতকাল আপনাকে মেসেজ করলাম, দেখেননি৷ আসল কথা বলছি শুনুন, আগামিকাল সকালের মধ্যে কুড়ি পেটি না পাঠিয়ে দিলে আপনাকে এবং আপনাদের পরিবারের সদস্যদের ঠুকে দেবো৷ তৃণমূল নেতা তখন পাল্টা বলেন, আপনি সামনাসামনি আসুন না, কথা বলছি৷ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে পাঠানো বার্তাতেও এই হুমকি দেওয়া ছিল৷ যদিও তাঁর কাছে কুড়ি লক্ষ নাকি আরও বেশি টাকা দাবি করা হয়েছে, তা বুঝতে পারেননি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ৷
এই ফোন পাওয়ার পরই ইংরেজবাজার থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল নেতা৷ এর পরই ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা বাড়ায় পুলিশ৷ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ বলেন, ‘আমার উপরে আগেও বোমা, গুলি নিয়ে আঘাত হয়েছে৷ আমি এসব ভয় পাই না৷ কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়েই চিন্তা৷ আমার মেয়েরা বাইরে থাকে, আমার এক পালিতা কন্যা আছে৷ আমি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকলেও ওরা তো থাকে না৷’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, একই নম্বর থেকে হুমকি এসএমএস এবং ফোন করা হয়েছিল৷ কোথা থেকে এই ফোন এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এ দিন সকালে ফের একবার ওই একই ফোন নম্বর থেকে এসএমএস করে ৯.৪৫ মিনিটের মধ্যে টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়৷