আরও পড়ুন– প্রকাশ্যে এল সন্ত প্রেমানন্দ মহারাজের জীবনের গোপন কথা, ৯০ বছরের বৃদ্ধা যা দাবি করলেন…!
উত্তরবঙ্গের আদিবাসী এলাকায় অভিনব কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের। চালু হচ্ছে উঠোন বৈঠক। আদিবাসীদের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রকল্পের কথা বলবে তৃণমূল কংগ্রেস। বোঝাবে আদিবাসী সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান। বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে এই বার্তা দেবে এই বৈঠকে। উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হল। আদিবাসী ভোট পেতে মরিয়া বিজেপি শিবির। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বেশ কয়েকটি লোকসভা আসনে ফ্যাক্টর হবে আদিবাসী ভোট। ২০১৯ বা ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে যে সব কেন্দ্রে জয় হাসিল করতে পেরেছিল, সেই সব সংসদীয় আসনের মধ্যে একাধিক জায়গায় আদিবাসী-জনজাতি ভোট ফ্যাক্টর ৷
advertisement
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ করে যে সংখ্যক এই আসন পেয়েছিল বিজেপি ৷ তা ২০২১ সালের ভোটে কমে যায়। অ্যাডভান্টেজ বিধানসভা আসনের প্রেক্ষিতে এগিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও শতাংশের বিচারে দু’জনের তুল্যমূল্য লড়াই চলছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসও চাইছে আদিবাসী, জনজাতি বা প্রান্তিক মানুষের কাছে জনসংযোগ বাড়াতে। তাই বড় বড় সভা, মঞ্চ বেঁধে বক্তৃতা না করে, একেবারে ঘরের উঠোনে বসে তাদের সমস্যা বুঝে নিতে। যা গ্রামাঞ্চলের ভোটে পঞ্চায়েত কেন্দ্রিক অংশে অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে মত তাদের। ইতিমধ্যেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জেলা সফর করেছেন। ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আসন কমলেও ইটাহার বিধানসভা যে লোকসভার অন্তর্ভুক্ত সেই বালুরঘাট হাতছাড়া হয় শাসক দলের।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই আসন জিতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন।আদিবাসী গ্রামে তাদের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি কথা বলে পরিস্থিতি বুঝেছেন ৷ এবার বিশেষ নজরে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলাগুলি ৷ তাই অভিনব ‘উঠোন বৈঠক’ শুরু করা হল উত্তর দিনাজপুর দিয়ে। ধীরে ধীরে উত্তরের সব জেলায় ব্লক লেভেলে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। উত্তর দিনাজপুরে আছে ৯টি ব্লক। দক্ষিণ দিনাজপুরে আছে ৬ টি ব্লক। এর মধ্যে একাধিক ব্লকে আদিবাসী ভোট ফ্যাক্টর। আবার দিনাজপুরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির আসন। তাই দিনাজপুর দিয়েই শুরু হচ্ছে এই উঠোন বৈঠক। গ্রামের বেশ কয়েকটি পাড়ার মধ্যে, বাড়ি বাছাই করা হচ্ছে। তারই উঠোনে বসে চলছে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা। তাদের অসুবিধা কোথায়। প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কী না? এমনকী, দল যে আদিবাসীদের অসম্মান করছে না, তাও এভাবেই বোঝানো হচ্ছে। ইটাহার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৯৭৬৯৭ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৬৬৯২৮ ভোট।