মোশারফ হোসেনের এই দুয়ারে চাটাই বৈঠককেই কার্যত মান্যতা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক গ্রাম কেন্দ্রিক। ইউএসপি হল মহিলা ভোট। চাটাই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে আসলে যারা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাদের চাহিদা বুঝে নেওয়া যাচ্ছে। ইটাহার অবশ্য তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। বালুরঘাট লোকসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেস হারলেও, এই বিধানসভায় এগিয়ে আছে তারা। ইটাহার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ৯৭৬৯৭, বিজেপি পেয়েছে ৬৬৯২৮ ভোট।
advertisement
দিনাজপুরে আদিবাসী এলাকায় আদিবাসী এলাকায় ‘উঠান বৈঠক’ করবে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগের এই কৌশলে মানুষের কাছে গিয়ে তাদের অভিযোগ শুনবে দল। যে সব এলাকায় লোকসভা ভোটে ফল আশানুরূপ হয়নি বা একেবারে গলায় গলায় লড়াই হয়েছে, সেই সব এলাকায় এই ধরনের নিবিড় জনসংযোগের পদ্ধতি অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল।উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে ৯টি ব্লক এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬টি।
সূত্রের খবর এই সব ক’টি ব্লকেই এই কর্মসূচি পালন করা হবে। গ্রামের বেশ পাড়ার মধ্যে একটি বাড়িকে বেছে নেওয়া হবে। সেই বাড়িতে গ্রামের সবাইকে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সে বাড়িতে তৃণমূলের নেতৃস্থানীয় কর্মীরা উপস্থিত থেকে গ্রামের মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তাঁর গ্রামের মানুষকে জানাবেন। কেউ প্রকল্পের সুবিধা না পেলে কী ভাবে তা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে মানুষকে ওয়াকিবহাল করবেন।
আরও পড়ুনঃ রোজ ব্রেকফ্রাস্ট-লাঞ্চ-ডিনার সবেই চিয়া সিড খাচ্ছেন! অজান্তেই মারণ রোগ ডাকছেন না তো? জানুন
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর সঙ্গে বিজেপি যে ‘ভুল বোঝাচ্ছে’ সেই বার্তাও দেয়া হবে।বিশেষ প্রচারের দায়িত্বে থাকা ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেন কথায়,’উন্নয়ন পৌঁছে দিতে আমরা কোনও ভেদাভেদ করি না, উঠোন বৈঠকের মাধ্যমে আমরা সেই বার্তাই দেব।’প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট কেন্দ্র সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাই সে দিকে থেকে দেখলে ‘উঠোন বৈঠকে’র প্রারম্ভিক জেলা হিসাবে দিনাজপুরকে বেছে নেওয়া রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।