মালদহের মোথাবাড়ি বিধানসভার মফঃসল গ্রাম বাবলা। এখানেই রাস্তার ধারে বাড়ি হাসিমুদ্দিন আহমেদের। বাড়ির নীচে অফিসেই দিনরাত কাটে মোথাবাড়ি বিধানসভার রথবাড়ি অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি হাসিমুদ্দিনের। গোটা কালিয়াচক ব্লক আর মোথাবাড়ি বিধানসভার মানুষ তাঁকে চেনেন হাঁসু প্রধান নামে। চৌত্রিশ বছরের বাম শাসন কিংবা গত সাত বছরের তৃণমূলি রাজ। কখনও কোনও দলই দাঁত ফোটাতে পারেনি এখানে। রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ সবসময়েই এই পরিবারের হাত ধরেই পঞ্চায়েতে জিতিয়ে এনেছে কংগ্রেসকে।
advertisement
---১৯৬৪ সালে প্রথমবার পঞ্চায়েতে জয়
---তারপর ৩০ বছর রথবাড়ি অঞ্চলের প্রধান পরিবারের কর্তা সফিজুদ্দিন আহমেদ
-- সংগঠনের দায়িত্বে সফিজুদ্দিনের ছেলে হাসিমুদ্দিন বা হাঁসু প্রধান
কখনও স্ত্রী, কখনও ভাইয়ের বউ, কখনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে প্রধান পদে বসিয়ে বকলমে পঞ্চায়েত বোর্ড চালান হাসিমুদ্দিন সাহেবই। এহেন হাসিমুদ্দিন তাই কখনও প্রধান না হয়েও হাঁসু প্রধানের তকমা পেয়ে এসেছেন।
হাঁসু প্রধানের বাবা আশি বছরের সফিজুদ্দিন আহমেদও এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী। গণি খান চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসা সফিজুদ্দিন ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি। পাঁচ দশেকেরও বেশি সময় ধরে কখনও গ্রাম পঞ্চায়েত, কখনও পঞ্চায়েত সমিতি, এমনকি দুবার মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন। পরিবারের কাছে তিনি মডেল।
পঞ্চায়েত ভোটে পরিবারের প্রাধান্য কাকতালীয় নয়। ভোটারদের ভালবাসারই প্রতিফলন। দাবি বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান হাঁসু প্রধানের ভাইয়ের বউ নাফিসা বানু।
-পরিবারের ৪ সদস্য এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী
-৭ নম্বর আসনের প্রার্থী হাসিমুদ্দিন আহমেদ
-৯ নম্বর আসনে প্রার্থী বৌমা সামসুন্নেহা
-১২ নম্বর আসন থেকে প্রার্থী ভাই-এর স্ত্রী নাফিসা বানু
-১৪ নম্বর আসনে প্রার্থী মেয়ে নাজরিন আহমেদ
পরিবারের নতুন প্রজন্মের দুই সদস্য এবার প্রথম ভোটের ময়দানে। রাজনীতিতে নতুন হলেও এর মারপ্যাচ ভালোই বোঝেন। আর তাই জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী তাঁরা।
ভোটের ফল বলবে ভবিষ্যত। তবে পরিবারতান্ত্রিক পঞ্চায়েতের এমন নজির সত্যিই মেলা ভার।