কোচবিহার হেরিটেজ কমিটির সদস্য ঋষিকল্প পাল জানান, “দীর্ঘ রাজ আমলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্দির গুলির মধ্যে এই মন্দির অন্যতম। যদিও এই মন্দির কোচবিহারের রাজারা প্রতিষ্ঠিত করেননি। তবুও এই মন্দিরের গুরুত্ব অনেকটাই জেলার বুকে। রাজ আমলের প্রায় ১৫০ বছরের বেশি পুরোনো এই মন্দির একটি রাম মন্দির। যা অনেকটাই আকর্ষণ করে বহু পর্যটক ও ভক্তদের। ১৮৯৭ সাল নাগাদ এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় এমনটাই জানা যায় ইতিহাস থেকে। সেই সময় মন্দিরের নির্মাতা গঙ্গা বিষ্ণুরাম পাটোয়ারির নামেই এই মন্দিরের নাম রাখা হয়।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “গঙ্গা বিষ্ণুরাম পাটোয়ারি তৎকালীন সময়ে বিহারের ভোজপুরের জমিদার ছিলেন। সেই সময় তিনি এই মন্দির ও মন্দিরের। পেছনের একটি দীঘি তিনি নির্মাণ করেন। যদিও উত্তরবঙ্গে রাজ আমলের পুরোনো রাম মন্দির সচরাচর খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই এই মন্দিরের গুরুত্ব জেলার এবং উত্তরবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অনেকটাই। তবে দীর্ঘ সময়ের পুরোনো এই মন্দির সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন। পর্যটক ও ভক্তদের জন্য মন্দিরের পরিবেশ আরও সুন্দর করে তোলা উচিত। যাতে রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির আরোও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সঠিক ভাবে থাকে।”
বর্তমান সময়ে রাজ আমলের এই মন্দিরে বছরের বিশেষ কিছু সময়ে বড় পুজোর আয়জন করা হয়। এছাড়া সারাবছর প্রতিদিন নিত্য পুজো দু’বেলা করা হয়ে থাকে। মন্দিরের বর্তমান পুরোহিত শ্যামসুন্দর পান্ডের পরিবার বংশ পরম্পরায় এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিশেষ পুজোর দিনগুলিতে এই মন্দির চত্বরে বহু ভক্ত ও মানুষের সমাগম দেখতে পাওয়া যায়।
Sarthak Pandit