জিটিএর নির্বাচনের আগেই বিজিপিএম সভাপতি অনীত থাপা কার্শিয়ংয়ের এক জনসভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে জিটিএর প্রথম সভায় গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা হবে। সেই মতো আজ প্রথম সভাতেই সেই প্রস্তাব পাশ করা হল। কী সেই প্রস্তাব? আলাদা রাজ্য গোর্খাল্যান্ড নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা শুরু করতে হবে। এর আগে ১১ বার ওই দাবি উঠেছিল এবং তা বন্ধও হয়ে যায়। এবারে এই দাবি নিয়ে আলোচনার পথ খুলতে হবে।
advertisement
বিজিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি আলাদা রাজ্যের বিষয়টি দেখবেন। একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করে তুলে দেবেন অনীত থাপার হাতে। তারপর সেই খসড়া নিয়ে পূর্বাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবে অনীত থাপার দল। জিটিএর ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহান জানান, সেইসঙ্গে পাহাড়ের ১১ জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির আওতাভুক্ত করার প্রস্তাবও পাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও দাবি আদায় হয়নি। নির্বাচন আসে, যায়। দাবি রয়েই যায়। এনিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন অনীত থাপা। পাশাপাশি কালিম্পংয়ে দুটি আলাদা মহকুমা করতে হবে। জোরবাংলো ও ঘুম নিয়ে পৃথক ব্লক তৈরি করতে হবে। এছাড়া পাহাড়ের চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা, ন্যূনতম মজুরি সহ ৫৫টি প্রস্তাব পাস করানো হয় এদিনের সভায়, একে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা।
হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড জানান, প্রথম সভা ছিল ঐতিহাসিক। পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে আসবেন আশা করি। তবে তৃণমূলের সভাসদ বিনয় তামাং কোনও মন্তব্য করতে চাননি।