মালদহ রেলওয়ে ডিভিশনের অধীন নিমতিতা স্টেশন। মালদহের ডিআরএম জানিয়েছেন, স্টেশন মাস্টারের ডায়েরি অনুযায়ী- শিয়ালদহ গামী তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস রাত দশটা পাঁচ মিনিটে দুই নম্বর প্লাটফর্মে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগে রাত ন'টা ৫৭ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। সবমিলিয়ে ১৮ জন যাত্রী জখম হয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১০:২৫ নাগাদ মালদহ থেকে রেলের "অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ মেডিকেল ভ্যান" ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এডিআরএম ছাড়াও আটজন পদস্থ আধিকারিক এবং পাঁচজন ডাক্তার ওই বিশেষ ভ্যানে নিমতিতা পৌঁছান। যদিও তার আগেই আহতরা হাসপাতালে পৌঁছন। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ নিমতিতা স্টেশনে পৌঁছানোর পর জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান রেলের চিকিৎসকরা। ডিআরএম জানিয়েছেন, নিমতিতা স্টেশন ‘স্পর্শকাতর' হিসেবে চিহ্নিত। এর আগেও সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময় এই স্টেশনে ভাঙচুর, আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। স্পর্শকাতর হওয়ায় গত দু’মাস ধরে সেখানে আর পি এফ এফ জওয়ানরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রেলের তরফে পৃথক কোনও তদন্ত করা হচ্ছে না। কারণ বিস্ফোরণের ঘটনায় রেলের কোনওরকম সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
advertisement
বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত, তাই রেলের আওতাধীন নয়। ফলে যা তদন্ত তা রেল পুলিশ এবং বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি করবে। তবে যে কোনও তদন্তকারী এজেন্সিকে রেলের তরফ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। একইসঙ্গে নিমতিতা স্টেশনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ডিআরএম। মালদহ রেলওয়ে ডিভিশনের পদস্থ কর্তারা বৃহস্পতিবার নিমতিতা স্টেশনের ঘটনার পর্যালোচনা করেন।