দীর্ঘকাল ধরেই এই ধানের চাষ করে আসছেন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকরা। তোলাই পাঁঞ্জী কিংবা তুলসি ভোগ, বাসমতি অথবা গোবিন্দ ভোগ এই সব নামীদামি চালের পাশে ডুয়ার্সের এই কালো সম্পদ, কালো নুনিয়া চাল যে কোনও অংশেই কম নয়, তা ভোজন রসিকরাই জানেন।
সম্প্রতি জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে উত্তরবঙ্গের এই কালো নুনিয়া চাল। অর্থাৎ এখন থেকে দেশের অন্যতম ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে এই ধানকে। সেজন্য একদিকে যেমন খুশি কৃষকরা, পাশাপাশি সেই কালো নুনিয়া ধানের স্টলে উপচে পড়ছে সাধারণ মানুষের ভিড়। এতে খুশি বিক্রেতা।
advertisement
এই চাল প্রস্তুতকারক রিতা মল্লিক কালো নুনিয়া নিয়ে এসেছেন জলপাইগুড়ির বানারহাটের নাথুয়া থেকে। সেখানে নিজের ১৪ বিঘা জমির মধ্যে তিন বিঘাতে চাষ করেছেন এই চালের। এখানে এসে তিনি দেখতে পান যে এই চালের চাহিদা অনেকে। ১০০ টাকা কেজি হলেও মানুষ জন কিনছেন কোন কার্পণ্য ছাড়াই।
আরও পড়ুন: কাছে যেতেই ওর মুখ থেকে দুর্গন্ধের দমকা বাতাস… নায়িকার মুখের গন্ধ নিয়ে বিস্ফোরক ববি, যা করলেন… ভয়ানক!
রিতা দেবী জানান, “আমরা আগে আমাদের কিছু সংখ্যক জমিতে এই কালো নুনিয়া চাষ করতাম। কিন্তু জলপাইগুড়ির এই মেলায় এসে দেখলাম এর চাহিদা অনেক। এবার ফিরে গিয়েই আরও বেশি সংখ্যক জমিতে এই চালের বীজ লাগাব।”
অন্যদিকে মেলায় উপস্থিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মণের কথায়, “এই মেলায় যে সকল সামগ্রী এসেছে সবই বিশ্বমানের। আশা করছি সারা দেশের পাশাপাশি আমাদের কৃষক বন্ধুদের উৎপাদিত দ্রব্য বিশ্ব বাজারেও সমান গুরুত্ব পাবে।” তার কথার সঙ্গে প্রায় একমত অতিরিক্ত জেলাশাসক তেজস্বিনী রানাও। তার কথায়, “আমরা চেষ্টা করছি মহিলাদের জন্য এই সৃষ্টিশ্রী মেলার মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তুলতে। এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি ওঁরা নিজদের প্রতিভাকে যথেষ্ট ভাবেই মেলে ধরেছে। আমরা পাশে থাকার সর্বদা চেষ্ঠা করব।” এত সফলভাবে সৃষ্টিশ্রী মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় খুশি সকলেই।
সুরজিৎ দে