স্কুল শিক্ষক সমীরবাবু তাঁর জমিতে প্রথম অবস্থায় শাল, সেগুন সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছিলেন। এরপর তিনি অনুভব করলেন সমস্ত গাছগুলি থেকে মুনাফা পেতে গেলে প্রায় কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। এইজন্য তিনি নতুনভাবে চাষের চিন্তাভাবনা শুরু করেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। চট-জলদি তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বিদেশি প্রজাতির বিভিন্ন ফলের গাছ চাষ করবেন তিনি। বর্তমানে থাই প্রজাতির পেয়ারা চাষ করে এলাকার কৃষকদের পথ দেখাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এক রাতেই খেল খতম! যা ঘটল নন্দনপুরে, দেখলে শুনলে আপনিও ১০ বার ভাববেন
সমীর বাবুর বাগানে গেলেই লক্ষ্য করা যাবে সারি সারি গাছে ঝুলে রয়েছে থাই প্রজাতির পেয়ারা। কোন কোন গাছে পাতা কম ফল বেশি। আর এই ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছ। পেয়ারাগুলিকে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে যাতে গাছগুলিতে যখন ঔষধ দেওয়া হয় সেই সময় ফলের উপর কোন প্রভাব না পড়ে তার জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন শিক্ষক সমীর কুমার সরকার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হিলি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মূলত গ্রীষ্মকাল পড়তেই জলের অভাব দেখা দেয় প্রতিবছরই। গ্রীষ্মকাল জুড়েই তেমন চাষবাস হয় না বললেই চলে। ফলস্বরূপ এই ধরনের বিদেশি প্রজাতির ফল চাষবাস কৃষকরা যদি করেন তাহলে ধান, পাট, সরষের থেকে অনেক গুণ লাভের মুখ দেখবেন তাঁরা। এই বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের সমীর বাবু প্রশিক্ষণও দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। এমনকি সমীর বাবুর পথ ধরেই একাধিক কৃষক এ ধরনের চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। একদিকে চাষ করে তিনি যেমন লাভের মুখ দেখছেন, অপরদিকে স্থানীয় কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এমনই চিন্তাভাবনা করে তিনি এই কাজে অবতীর্ণ হয়েছিলেন একটা সময়।
সুস্মিতা গোস্বামী





