বানারহাটে আইএনটিটিইউসির সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের দেওয়া প্রতিটি তথ্য সংসদে তুলে ধরবেন বলে সভাতেই জানিয়ে দিলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্যসভাপতি তথা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋতব্রত জানান, চা-বাগান শ্রমিকদের কথা কেন্দ্র ভাবেনি, বাজেটে তাঁদের নামটুকুও স্থান পায়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার চুপ করে বসে নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেন্দ্রের অধীনস্থ চারটি চা-বাগান চুনাভাটি, বানারহাট, কারবালা ও নিউ ডুয়ার্সে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে তোলা হবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শিশুদের জন্য ক্রেস। এই ঘোষণার পর থেকেই চা-শ্রমিক মহল্লায় খুশির জোয়ার। রাজ্যের এই মানবিক পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাগান এলাকার মানুষজন।
advertisement
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, বহু চা-বাগানে এখনও পিএফ, গ্র্যাচুইটি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা— কোনও কিছুই সুষ্ঠুভাবে পৌঁছায়নি। শিশুদের গাড়ির মধ্যে গাদাগাদি করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়,এই চিত্র দেখে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন।
বানারহাট ব্লকের বানারহাট চা বাগানে গেটে সামনে সকাল থেকেই কিছুদিন আগেই ভিড় জমান চা বাগানের শ্রমিকেরা। বাগান শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ চা বাগান হওয়া সত্ত্বেও সরকার উদাসীন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সরকারের অধিগৃহীত চা বাগানে শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। এই চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়ে কনভেনশন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার বলার পরেও মিলছে না শ্রমিকদের সাহায্য। বানারহাট ও কারবালা হল ধূপগুড়ি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত ও নিউ ডুয়ার্স ও চুনাভাটি হল নাগরাকাটা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের অধিগৃহীত চা বাগানে শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। এই চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়ে কনভেনশন করছে তৃণমূল কংগ্রেস।