উত্তরের চা বাগানগুলিতে বাড়ছে উত্তাপ। গত কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকেই বিক্ষোভ চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধিনস্থ চা বাগানে। গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলনে কেন্দ্রীয় অধীনস্থ এন্ড্রুউল কোম্পানির চা বাগানের শ্রমিকেরা। বকেয়া মজুরি, বকেয়া বেতন, পিএফ, গ্র্যাচ্যুইটি দাবিতে চলছে বিক্ষোভ চা বাগানের গেটের সামনে। বানারহাট ব্লকের বানারহাট চা বাগানে গেটে সামনে সকাল থেকেই কিছুদিন আগেই ভিড় জমান চা বাগানের শ্রমিকেরা। বাগান শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ চা বাগান হওয়া সত্ত্বেও সরকার উদাসীন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সরকারের অধিগৃহীত চা বাগানে শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। এই চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়ে কনভেনশন করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
জুন মাসের ২৫ তারিখ কনভেনশন হয় বানারহাট ও কারবালা চা বাগানে। গত ২৬ জুন কনভেনশন হয় নিউ ডুয়ার্স ও চুনাভাটি চা বাগানে। বারবার বলার পরেও মিলছে না শ্রমিকদের সাহায্য। বানারহাট ও কারবালা হল ধূপগুড়ি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত ও নিউ ডুয়ার্স ও চুনাভাটি হল নাগরাকাটা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের অধিগৃহীত চা বাগানে শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। এই চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়ে কনভেনশন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বানারহাট, নিউ ডুয়ার্স, চুনাভাটি, কারবালা চা বাগান মিলে তৈরি হয়েছে একটি ইউনিয়ন, যার নাম ডুয়ার্স ইউল বাগান বাঁচাও কমিটি। এই চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রয়েছে ৷ দীর্ঘদিন পরিচর্যার অভাব, বেতন না পাওয়া, পিএফ না পাওয়া ও মেডিক্লেম না পাওয়ার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ জন চা শ্রমিক কলকাতার হেড অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
চা বাগানের আগেও শ্রমিকদের বকেয়া নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘সংসদে এই বিষয় আমরা উত্থাপন করেছি। বারবার আবেদন করা হয়েছে পিএফ অফিসের কাছেও। কিন্তু কোনও সুরাহা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই সব বাগান নিয়ে কনভেনশন করা হচ্ছে। কেন্দ্রের এই অসহযোগিতার বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’’